কুমিল্লা প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হন আতিকুল ইসলাম রিয়াদ। সক্রিয় রাজনীতি করতেন যুবলীগের। ঘনিষ্ঠতা রেখে চলেন কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক এমপি এমএ জাহেরের সঙ্গে।
এছাড়াও তিনি দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সাবেক সভাপতি আবু তৈয়বের একান্ত আস্থাভাজন ছিলেন। সব মিলিয়ে দলীয় পদ না থাকলেও দাপুটে চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এতে বেপরোয়া হয়ে দুই হাতে লুটেছেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ, দখল-চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন জনজীবন। এরপরও তার স্বভাব-চরিত্র ভালো বলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন এক ওসি।
ওই যুবলীগ ক্যাডার রিয়াদের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের মল্লিকা দিঘিতে। তিনি শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ-যুবলীগের প্রায় সব কর্মসূচিতে সামনের সারিতে থাকতেন, নেতৃত্বও দিতেন। নানা মিছিল-মিটিংয়ে অর্থায়ন এবং কর্মী সরবরাহ করতেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যে হামলা চালায়, সেখানেও তার সক্রিয় উপস্থিতি ছিল। এজন্য তার নামে হত্যা মামলাও হয়।
এতকিছুর পরও জুলাই হত্যা মামলার আসামি রিয়াদের স্বভাব-চরিত্র ভালো বলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রিয়াদ প্রত্যয়নপত্রটি নিয়েছিলেন জুলাইয়ের হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য। মূলত ওই মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্যই বাদী সোহেল রানার কাছ থেকে জোর করে স্ট্যাম্পে সইও নেওয়া হয়। সেটা দিয়ে অ্যাফিডেভিট করেন ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদ। এমনকি প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি দেলোয়ারকে চাপ দেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট বুড়িচং থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কালা কচুয়া এলাকায় মামলার বাদী সোহেল রানাসহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা।
ওই ঘটনায় ২০২৫ সালের ১৫ মে ২৩৬ জনকে আসামি করে কুমিল্লা আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী সোহেল। এতে ৫০ নম্বর আসামি যুবলীগ ক্যাডার ও ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদ।
হয়রানির শিকার হওয়ার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, রিয়াদ যুবলীগের কর্মী। তিনি সাবেক এমপি এমএ জাহেরের খুব ঘনিষ্ঠ। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি জাহেরের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগের সব সভা-সমাবেশে অংশ নিতেন। সবসময় সামনের সারিতেই থাকতেন। অনেক কর্মসূচিতে তিনি নেতৃত্বও দিয়েছেন।
জুলাই বিপ্লবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কালা কচুয়া এলাকায় হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদী সোহেল রানা আমার দেশকে বলেন, যুবলীগের রিয়াদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে তার লোকজন। আমি ভুক্তভোগী, আমি তাদের নাম বাদ দেওয়ার পক্ষে নই।
এ বিষয়ে জানতে যুবলীগ ক্যাডার রিয়াদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জুলাই হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ ক্যাডারের স্বভাব-চরিত্র ভালো বলে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি দেলোয়ার বলেন, বিএনপির বড় বড় নেতা সুপারিশ করেছেন। অনেক কিছু হয়েছে। শুধু শুধু আমাকে প্রেশার দিয়েন না। এর মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিবও আছেন। আর প্যাঁচাইয়েন না। এটার মেয়াদ চলে গেছে। প্রথমে এটা না দেওয়ার কারণে অনেক কিছু হয়ে গেছে।
তবে তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব বললেও তার নাম উচ্চারণ করেননি। তার কাছে নাম জানতে চাইলে তা প্রকাশে রাজি হননি তিনি।
প্রত্যয়নপত্র দিতে চাপ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কীসের প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন ওসি সাহেব?
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হন আতিকুল ইসলাম রিয়াদ। সক্রিয় রাজনীতি করতেন যুবলীগের। ঘনিষ্ঠতা রেখে চলেন কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক এমপি এমএ জাহেরের সঙ্গে।
এছাড়াও তিনি দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সাবেক সভাপতি আবু তৈয়বের একান্ত আস্থাভাজন ছিলেন। সব মিলিয়ে দলীয় পদ না থাকলেও দাপুটে চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এতে বেপরোয়া হয়ে দুই হাতে লুটেছেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ, দখল-চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন জনজীবন। এরপরও তার স্বভাব-চরিত্র ভালো বলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন এক ওসি।
ওই যুবলীগ ক্যাডার রিয়াদের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের মল্লিকা দিঘিতে। তিনি শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ-যুবলীগের প্রায় সব কর্মসূচিতে সামনের সারিতে থাকতেন, নেতৃত্বও দিতেন। নানা মিছিল-মিটিংয়ে অর্থায়ন এবং কর্মী সরবরাহ করতেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যে হামলা চালায়, সেখানেও তার সক্রিয় উপস্থিতি ছিল। এজন্য তার নামে হত্যা মামলাও হয়।
এতকিছুর পরও জুলাই হত্যা মামলার আসামি রিয়াদের স্বভাব-চরিত্র ভালো বলে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রিয়াদ প্রত্যয়নপত্রটি নিয়েছিলেন জুলাইয়ের হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য। মূলত ওই মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্যই বাদী সোহেল রানার কাছ থেকে জোর করে স্ট্যাম্পে সইও নেওয়া হয়। সেটা দিয়ে অ্যাফিডেভিট করেন ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদ। এমনকি প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি দেলোয়ারকে চাপ দেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট বুড়িচং থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কালা কচুয়া এলাকায় মামলার বাদী সোহেল রানাসহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা।
ওই ঘটনায় ২০২৫ সালের ১৫ মে ২৩৬ জনকে আসামি করে কুমিল্লা আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী সোহেল। এতে ৫০ নম্বর আসামি যুবলীগ ক্যাডার ও ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াদ।
হয়রানির শিকার হওয়ার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, রিয়াদ যুবলীগের কর্মী। তিনি সাবেক এমপি এমএ জাহেরের খুব ঘনিষ্ঠ। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি জাহেরের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগের সব সভা-সমাবেশে অংশ নিতেন। সবসময় সামনের সারিতেই থাকতেন। অনেক কর্মসূচিতে তিনি নেতৃত্বও দিয়েছেন।
জুলাই বিপ্লবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কালা কচুয়া এলাকায় হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদী সোহেল রানা আমার দেশকে বলেন, যুবলীগের রিয়াদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে তার লোকজন। আমি ভুক্তভোগী, আমি তাদের নাম বাদ দেওয়ার পক্ষে নই।
এ বিষয়ে জানতে যুবলীগ ক্যাডার রিয়াদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জুলাই হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ ক্যাডারের স্বভাব-চরিত্র ভালো বলে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি দেলোয়ার বলেন, বিএনপির বড় বড় নেতা সুপারিশ করেছেন। অনেক কিছু হয়েছে। শুধু শুধু আমাকে প্রেশার দিয়েন না। এর মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিবও আছেন। আর প্যাঁচাইয়েন না। এটার মেয়াদ চলে গেছে। প্রথমে এটা না দেওয়ার কারণে অনেক কিছু হয়ে গেছে।
তবে তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব বললেও তার নাম উচ্চারণ করেননি। তার কাছে নাম জানতে চাইলে তা প্রকাশে রাজি হননি তিনি।
প্রত্যয়নপত্র দিতে চাপ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কীসের প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন ওসি সাহেব?
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে