কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ফলিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-২৫ বছরের পুরানো ভোটকেন্দ্র পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে উখিয়া সদরের প্রধান সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নারী, পুরুষ, যুবক-যুবতিসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজাপালং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা প্রায় সাত হাজার ৫০০। এই ওয়ার্ডে দুটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে-উখিয়া গার্লস স্কুল ও ফলিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরমধ্যে উখিয়া গার্লস স্কুলে প্রায় দু’হাজার ৭০০ ভোটার এবং ফলিয়াপাড়া কেন্দ্রে রয়েছে প্রায় চার হাজার ৮০০ ভোটার।
তারা অভিযোগ করেন, ফলিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি সরিয়ে মৌলভীপাড়া এলাকার একটি বেসরকারি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেখানে মাত্র ২২৬ জন ভোটার রয়েছেন। অথচ সেখানে প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোটারদের স্থানান্তরিত করার উদ্যোগে স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষক জাফর আহমদ বলেন, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষকে শুধু শিক্ষা নয়, ভোটাধিকার চর্চারও সুযোগ দিয়েছে। ২২৬ ভোটারের জন্য এটি হঠাৎ করে সরিয়ে নেওয়া মানে এলাকার মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। বিশেষ করে প্রবীণ ও নারী ভোটারদের জন্য এটি হবে অত্যন্ত কষ্টকর।
এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেয়া বৃদ্ধ সোনালি আক্তার বলেন, এই বয়সে অনেক কষ্টে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেই। ফলিয়াপাড়া স্কুল আমাদের খুব কাছেই। যদি এটা সরিয়ে ফেলা হয়, তাহলে আমি আর ভোট দিতে পারব না। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ-আমাদের কেন্দ্রে হাত দেবেন না।
মানববন্ধনে উপস্থিত জামায়াতের স্থানীয় নেতা নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, এই কেন্দ্রটি শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি এলাকাবাসীর ভোটাধিকার চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এটি বন্ধ হলে হাজারো ভোটারকে অযথা ভোগান্তিতে পড়তে হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি-ফলিয়াপাড়া কেন্দ্র স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, নইলে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষক, ছাত্র ও সাধারণ ভোটাররা।
বক্তারা দ্রুত ফলিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম চালুর দাবি জানান এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

