কক্সবাজারের রামুতে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সদ্ধর্মোদয় বৌদ্ধ বিহার ও ভাবনা কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে রাজারকুল ইউনিয়নের পূর্ব রাজারকুল বড়ুয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, বিহারের জমি নিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে সমদেশ বড়ুয়া লুলুর নেতৃত্বে একদল লোক বিহারে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
হামলার দৃশ্য বুদ্ধ ভিক্ষু প্রজ্ঞা বিনয় থের ফেসবুক লাইভে প্রচার করলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রামু থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সমদেশ বড়ুয়া লুলু (মৃত উপেন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে) তার ছেলে রনি বড়ুয়া, মৃত সুবাস বড়ুয়ার ছেলে রনি বড়ুয়া পরে প্রজ্ঞা বিনয় ভিক্ষু রামু থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫–২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার তিনজন ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয় মুন্নি বড়ুয়া পিতা মৃত সমদেশ বড়ুয়ার, সমিরন বড়ুয়া পিতা মৃত উপেন্দ্র বড়ুয়া।
এজাহারে বলা হয়েছে, আদালতের স্থিতি বজায় রাখার আদেশ অমান্য করে হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে বিহারে প্রবেশ করে ভিক্ষুদের মারধর করে, বিবস্ত্র করার চেষ্টা চালায় এবং ২টি বুদ্ধমূর্তি, নির্মাণাধীন বিহার, চেয়ার–টেবিল ও সাজসজ্জার সামগ্রী ভাঙচুর করে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া দানবক্স থেকে ১৫ হাজার টাকা লুটের অভিযোগও রয়েছে।
হামলায় বিহারের পরিচালক প্রজ্ঞা তাপস ভিক্ষু আহত হন এবং তাকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রামু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফরিদ বলেন, জমি বিরোধের জেরে ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উস্কানি বা অপপ্রচার যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

