সীতাকুণ্ডে দুই সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ২৮

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা সাংবাদিকদের গাড়ি ভাঙচুর, ক্যামেরা, টাইপড, মোবাইল, মানিব্যাগ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনতাই করে নিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দুই সাংবাদিককে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর এলাকার লোহার ব্রিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুক্রবার রাতভর দুই গ্রুপে গোলাগুলি হয়। এতে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের অন্তত ১০-১২ জন করে ব্যক্তিকে অপহরণ করে। এতে কালু নামে একজন ঘটনাস্থলে নিহত হন।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, আগের দিনের ঘটনার ফলোআপ করতে রোববার সকালে এখন টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হোসাইন আহমেদ জিহাদ ও ক্যামেরা পারসন মো. পারভেজ গাড়িসহ জঙ্গল সলিমপুরে প্রবেশ করে। এসময় সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও ভিকটিমদের ফুটেজ নেওয়ার সময় কয়েকটি সিএনজি যোগে ধারালো অস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী এসে মারধর করে শুরু করে। একপর্যায়ে তারা সাংবাদিক হোসাইন আহমেদ জিহাদকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। আর তার ক্যামেরা পারসন পারভেজকে লাথি, কিল-ঘুষিসহ মাটিয়ে লুটিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। তিনি কোনমতে ছুটে এসে প্রাণে বাঁচেন। এসময় সন্ত্রাসীরা এখন টিভির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং তাদের মোবাইল, মানিব্যাগ, আইডি কার্ড, পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।

এখন টিভির ব্যুরো প্রধান বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের মারধর শুরু করা হয়। কারা করল তাও বুঝতে পারলাম না, তারা আমাদের কোন কথাও শুনল না। কি নিউজ করতে গেলাম সেটা শুনতে চাইল না। আমাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়, ঘাড়ে কোপ বসিয়ে দেয়।

ক্যামেরা পারসন মো. পারভেজ কান্নাজনতি কণ্ঠে বলেন, আমাকে এলোপাতাড়ি এতো মারধর করা হয়েছে ব্যথায় নড়াচড়া করতে পারছি না। কেউ আমাদের কথা শুনেনি তারা। সেখানে এতো বড় ঘটনা গতকাল থেকে ঘটে চললেও আশেপাশে কোন পুলিশ নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জঙ্গল সলিমপুরে সাংবাদিকদের ওপর এই হামলা চালিয়েছেন জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগর দখলে রাখা শীর্ষ সন্ত্রাসী ইয়াছিনের অন্যতম ক্যাডার জামাই ইয়াছিন, তার ভাই ফারুকসহ মশিউরের লোকজন। এর আগে রোকন মেম্বারের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ওই এলাকা দখল করতে গেলে ইয়াছিনের বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়ে পালিয়ে যান।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি ও শিল্পাঞ্চল) মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমরা সেখানে পুলিশ ফোর্স বাড়িয়েছি। সাংবাদিকদের কাছ থেকে লুট করা জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গতকালের ঘটনায় কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানাতে পারেননি।

সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত