বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত ২৫ শ্রমিককে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ৩৭ ঘণ্টার পর মঙ্গলবার ভোরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে সোমবার সকালে অপহৃত শ্রমিক জিয়াউর রহমান (৪৫) সন্ত্রাসীদের হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে আসেন। লামা থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন শ্রমিকদের মুক্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মুক্ত হওয়া শ্রমিকরা হলেন মো. ফারুক (২৬), মো. আইয়ুব আলী (২৬), মো. সিদ্দিক (৪০), মো. আব্দুল খালেক (২০), আব্দুল মাজেদ (১৭), মনিরুল ইসলাম (৩০), মো. মোবারক (২৫), মো. হারুন (৩০), সৈয়দ নুর (২৮), রমিজ উদ্দিন (৩০), মো. কায়ছার (৩৮), মো. মনির হোসেন (৩৫), মো. ইমরান (১৭), মঞ্জুর (৩০), আফসার আলী (২৫), মো. খাইরুল আমিন (৩০), আবু বক্কর (২৯), আবদুর রাজ্জাক (৩৩) ও মো. মবিন (২৫)। এরা সবাই কক্সবাজারের রামু, ঈদগাহ এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। মুক্ত অপর ৬ জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
মুক্ত শ্রমিকরা ঈদগড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান রাবার বাগান মালিক মো. শাহজাহান।
এদিকে আরাফাত রাবার বাগানের মালিক মো. ফোরকান জানান, তার বাগানের ১২ জনকে মুক্ত করতে ৩ লাখ আর বাকি ৬ বাগানের ১৪ জনকে মুক্ত করতে ৭ লাখ টাকা সন্ত্রাসীদের মুক্তিপণ দিতে হয়েছে। শ্রমিকদের বেশ মারধর করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তাদের এখন কক্সবাজার উপজেলার ঈদগড় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গয়ালমারা মুরুংঝিরির ৬টি রাবার বাগান থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে ২৬ রাবার (ট্রেপার) শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধারে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযানে নামেন।

