চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় কনসার্ট চলাকালে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেয় কয়েকজন যুবক, মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার নাম নেওয়ায় ধাওয়া দেয়।
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও শর্টগান দিয়ে গুলি চালায়। এতে অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিইসি কনভেনশন হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোন্ডা কর্তৃক আয়োজিত কনসার্টে সন্ধ্যার পর ব্যান্ডদল আর্টসেল মঞ্চে ওঠে গান গাইতে শুরু করে। দুইটি গান পরিবেশনের পর তারা হঠাৎ পারফরম্যান্স বন্ধ করে দেন। ঠিক সেই সময় সামনে থাকা কয়েকজন যুবক ‘শেখ হাসিনা’ ও ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করলে উপস্থিত বিএনপি সমর্থকদের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। মুহূর্তেই তা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
একপর্যায়ে কনসার্টস্থলে ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ ও শর্টগান দিয়ে গুলি ছোঁড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের মধ্যে একজনের নাম মো. শরিফ (২৩), তিনি খুলশি থানার ডেবারপাড় এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশেক জানান, শরিফ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন।
খুলশি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি।
তবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) শ্রীমা চাকমা ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, হোন্ডা কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে উশৃঙ্খল কিছু তরুণ ভাঙচুর চালালে পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ ও আট রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে।
পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসি আমাকে সেটি জানায়নি। এখন আমরা কম বিপজ্জনক শর্টগান ব্যবহার করি।
স্থানীয়রা বলছেন, শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেওয়া নিয়েই মূল সংঘর্ষের সূত্রপাত। ঘটনার পর থেকে পুরো জিইসি মোড় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

