চসিকের ‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্পে সাড়া নেই

এম কে মনির, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৩
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৪

নগরের বাসা-বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহে গত জুলাইয়ে চালু করা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্প এখন কার্যত ভেঙে পড়েছে। সড়ক-অলি-গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ভোগান্তি বাড়ছে নগরবাসীর।

বিজ্ঞাপন

বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকল্পে যুক্ত ঠিকাদাররা নির্ধারিত ৬০-৭০ টাকার পরিবর্তে প্রতি ফ্ল্যাটে ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। প্রভাব খাটানো ও খারাপ আচরণেরও অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। চসিকের নীতিমালায় ৭০ টাকার বেশি আদায় নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবে তা মানা হচ্ছে না।

শুধু তাই নয়, প্রকল্প চালুর পর বিভিন্ন এলাকার ডাস্টবিন সরিয়ে নেয়ায় বাসিন্দারা এখন নিজেরাই ময়লা ফেলতে পারছেন না। সময়মতো ময়লা সংগ্রহেও অনিয়ম হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রায় চার হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মীর অনেকেই নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করে নিজ উদ্যোগে বাসা-বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে ময়লা তুলছেন। এতে বেতন ছাড়াও বাড়তি আয় করছেন তারা।

বায়েজিদ নগর আবাসিক এলাকার সাজ্জাদ হোসেন জানান, তাদের ৪১০ ফ্ল্যাটে প্রতি মাসে ৪১ হাজার টাকা আদায় করছে ঠিকাদাররা। কর্ণেল হাটের আকতার হোসেন বলেন, ‘ময়লা তুলতে দেরি হয়, কিন্তু টাকা তুলতে সময়মতো হাজির।’

অন্যদিকে আবাসিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেছেন, হোল্ডিং ট্যাক্সের সাথেই পরিচ্ছন্ন কর পরিশোধ করলেও আবার নতুন করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। ময়লা ব্যবস্থাপনায় কোনো সুফলও মিলছে না। হিলভিউ আবাসিক এলাকার সভাপতি এডভোকেট মনিরুল আলম বলেন, ‘ড্রেন-নালা পরিষ্কার হয় না, মশার ওষুধ ছিটানো যায় না, শুধু টাকা তোলা হচ্ছে।’

অনিয়ম স্বীকার করে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘অনেক কর্মী নিয়মিত কাজ না করে ময়লার ব্যবসা করছেন। এতে ঠিকাদাররা সমস্যায় পড়ছেন। নির্দেশনা অমান্য করলে জরিমানা ও চুক্তি বাতিল করা হবে।’

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কেউ চাইলে প্রকল্পের বাইরে থাকতে পারবেন। তবে ৭০ টাকার বেশি আদায়ের অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য নগরীতে আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনা।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত