এম হাসান, কুমিল্লা
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ডাকাতিয়া নদীতে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে আশপাশের চার গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। গ্রামবাসীরা বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে উপজেলা প্রশাসন বরাবরে লিখিত আবেদন করলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে প্রশাসনের দাবি, নদীর নাব্য রক্ষায় এ খনন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ক্যাডার ও হত্যা মামলার আসামি রুবেল এ কাজের ঠিকাদার। তিনি বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে আঁতাত করে মাটি বিক্রি করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে সাতবাড়িয়া এলাকায় ভেকু ব্যবহার করে সরকারি উদ্যোগে নদী খনন করা হয়। সম্প্রতি ড্রেজার ব্যবহার করে ফের খনন শুরু হলে আশপাশের গ্রামগুলো নদীভাঙনের শঙ্কায় পড়েছে। একই সঙ্গে সাতবাড়িয়া এলাকার চারটি সংযোগ সেতু ভেঙে যাওয়ায় মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে দুর্ভোগ সীমাহীন।
ডাকাতিয়া নদীর ১০ কিলোমিটার এলাকায় নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া, চৌকুড়ি, নাইয়ারা ও পরিকোট গ্রামের মানুষ ড্রেজারে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কিছু নেতা সিন্ডিকেট করে এ বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে।
তারা বলেন, এর আগেও উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি সেলিমের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করা হয়। এবারও বিএনপির নামধারী নেতাকর্মীরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একই কাজ করছে, এতে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে।
চার গ্রামের মানুষের অভিযোগ, নদীভাঙনে গ্রামের মানুষ সর্বস্বান্ত হলে নাব্য রক্ষা করে লাভ কী। তাছাড়া এ মাটি স্থানীয়দের অনেকের কাছেও বিক্রি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৬০ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছে তারা । আমাদের ঘরবাড়ি হুমকিতে ফেলে এই ব্যবসা করছে ।
সাতবাড়িয়ার আবুল কালাম বলেন, নামধারী কিছু বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে মাটি বিক্রি করছে। তারা বিএনপির বদনাম করছে। দেশ ও জনগণের ক্ষতি করছে এ সিন্ডিকেট।
স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল হক মজুমদার বাবুল, সোহেল মজুমদার, আবুল কালাম, সিরাজ মজুমদার, জুয়েল খান ও রুবেল মজুমদারসহ চার গ্রামের অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ এ অভিযোগ করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, ডাকাতিয়া নদীতে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন, দেওয়া হয়েছে ১২ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন। নদীর দুই পাড় ঘেঁষে রয়েছে মানুষের বাড়িঘর ও আবাদি জমি। ভাঙনের আশঙ্কার মধ্যেও চলছে খনন কার্যক্রম।
সাতবাড়িয়া গ্রামের গৃহবধূ ববি বেগম বলেন, এখান থেকে বালু তুললেই আমাদের বাড়িঘর ও জমিজমা ধসে যাবে। যে কোনো মুহূর্তে ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যাবে।
এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানান, তারা প্রতিবাদ করলেই ভয়ভীতি দেখানো হয়। সাতবাড়িয়া ও আশপাশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর। ডাকাতিয়া নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি, মসজিদ, মাদরাসা, গোরস্থান, স্কুল, খেলার মাঠ ও হাটবাজার।
ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে চারটি সেতু। প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় ঘরবাড়ি ও সম্পদ হারানোর শঙ্কায় হতাশা বাড়ছে গ্রামবাসীর মধ্যে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাতবাড়িয়া এলাকার আলাউদ্দিন আল মাহমুদ কিরণ আমার দেশকে বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি রুবেল এ কাজের ঠিকাদার। সে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে সঙ্গে আঁতাত করে মাটি বিক্রি করছে।
মাটি বিক্রি সিন্ডিকেটের প্রধান উপজেলা যুবলীগ সহসভাপতি সেলিমকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বালু উত্তোলন ঠিকাদার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে মোবাইলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, নদী খনন কার্যক্রম চলছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, আমি নতুন এসেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
গ্রামবাসীর দাবি, বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধ না হলে নদীভাঙনে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে।
নাঙ্গলকোট উপজেলার দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন বড়ুয়া বলেন, নদী খনন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ ডাকাতিয়া নদীটি ১০ কিলোমিটার জুড়ে খনন করা হচ্ছে। উত্তোলন বালু উপজেলা মাটি বিক্রয় কমিটির মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, নদীর নাব্য রক্ষার জন্য নদী খনন কর্মসূচি চলতে পারে। তবে জনগণের ভোগান্তি করে নয়। যদি জনগণের ক্ষতি হয় এমন কোনো বিষয় আমাদের সামনে আছে, তাহলে আমরা তদন্ত করে সেটি খনন বন্ধ করার প্রক্রিয়া চালাব।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ডাকাতিয়া নদীতে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে আশপাশের চার গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। গ্রামবাসীরা বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে উপজেলা প্রশাসন বরাবরে লিখিত আবেদন করলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে প্রশাসনের দাবি, নদীর নাব্য রক্ষায় এ খনন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ক্যাডার ও হত্যা মামলার আসামি রুবেল এ কাজের ঠিকাদার। তিনি বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে আঁতাত করে মাটি বিক্রি করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে সাতবাড়িয়া এলাকায় ভেকু ব্যবহার করে সরকারি উদ্যোগে নদী খনন করা হয়। সম্প্রতি ড্রেজার ব্যবহার করে ফের খনন শুরু হলে আশপাশের গ্রামগুলো নদীভাঙনের শঙ্কায় পড়েছে। একই সঙ্গে সাতবাড়িয়া এলাকার চারটি সংযোগ সেতু ভেঙে যাওয়ায় মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে দুর্ভোগ সীমাহীন।
ডাকাতিয়া নদীর ১০ কিলোমিটার এলাকায় নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া, চৌকুড়ি, নাইয়ারা ও পরিকোট গ্রামের মানুষ ড্রেজারে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কিছু নেতা সিন্ডিকেট করে এ বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে।
তারা বলেন, এর আগেও উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি সেলিমের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করা হয়। এবারও বিএনপির নামধারী নেতাকর্মীরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একই কাজ করছে, এতে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে।
চার গ্রামের মানুষের অভিযোগ, নদীভাঙনে গ্রামের মানুষ সর্বস্বান্ত হলে নাব্য রক্ষা করে লাভ কী। তাছাড়া এ মাটি স্থানীয়দের অনেকের কাছেও বিক্রি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৬০ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছে তারা । আমাদের ঘরবাড়ি হুমকিতে ফেলে এই ব্যবসা করছে ।
সাতবাড়িয়ার আবুল কালাম বলেন, নামধারী কিছু বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে মাটি বিক্রি করছে। তারা বিএনপির বদনাম করছে। দেশ ও জনগণের ক্ষতি করছে এ সিন্ডিকেট।
স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল হক মজুমদার বাবুল, সোহেল মজুমদার, আবুল কালাম, সিরাজ মজুমদার, জুয়েল খান ও রুবেল মজুমদারসহ চার গ্রামের অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ এ অভিযোগ করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, ডাকাতিয়া নদীতে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন, দেওয়া হয়েছে ১২ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন। নদীর দুই পাড় ঘেঁষে রয়েছে মানুষের বাড়িঘর ও আবাদি জমি। ভাঙনের আশঙ্কার মধ্যেও চলছে খনন কার্যক্রম।
সাতবাড়িয়া গ্রামের গৃহবধূ ববি বেগম বলেন, এখান থেকে বালু তুললেই আমাদের বাড়িঘর ও জমিজমা ধসে যাবে। যে কোনো মুহূর্তে ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যাবে।
এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানান, তারা প্রতিবাদ করলেই ভয়ভীতি দেখানো হয়। সাতবাড়িয়া ও আশপাশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর। ডাকাতিয়া নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি, মসজিদ, মাদরাসা, গোরস্থান, স্কুল, খেলার মাঠ ও হাটবাজার।
ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে চারটি সেতু। প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় ঘরবাড়ি ও সম্পদ হারানোর শঙ্কায় হতাশা বাড়ছে গ্রামবাসীর মধ্যে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাতবাড়িয়া এলাকার আলাউদ্দিন আল মাহমুদ কিরণ আমার দেশকে বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি রুবেল এ কাজের ঠিকাদার। সে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে সঙ্গে আঁতাত করে মাটি বিক্রি করছে।
মাটি বিক্রি সিন্ডিকেটের প্রধান উপজেলা যুবলীগ সহসভাপতি সেলিমকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বালু উত্তোলন ঠিকাদার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে মোবাইলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, নদী খনন কার্যক্রম চলছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, আমি নতুন এসেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
গ্রামবাসীর দাবি, বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধ না হলে নদীভাঙনে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে।
নাঙ্গলকোট উপজেলার দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন বড়ুয়া বলেন, নদী খনন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ ডাকাতিয়া নদীটি ১০ কিলোমিটার জুড়ে খনন করা হচ্ছে। উত্তোলন বালু উপজেলা মাটি বিক্রয় কমিটির মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, নদীর নাব্য রক্ষার জন্য নদী খনন কর্মসূচি চলতে পারে। তবে জনগণের ভোগান্তি করে নয়। যদি জনগণের ক্ষতি হয় এমন কোনো বিষয় আমাদের সামনে আছে, তাহলে আমরা তদন্ত করে সেটি খনন বন্ধ করার প্রক্রিয়া চালাব।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
৩৬ মিনিট আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
৪২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে