চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে প্রায় ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে, আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত না দিয়ে তড়িঘড়ি করে নিজেই বিদায় সংবর্ধনা আয়োজন করে অবসরে যাওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মো. কামরুজ্জামান উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্র মতে, ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর মো. কামরুজ্জামান তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্নভাবে আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভ্যন্তরীণ এক নিরীক্ষায় ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। পরে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের মধ্যস্থতায় ৪ কিস্তিতে বিদ্যালয়কে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ শর্তে রফাদফা হয়। এরপর কামরুজ্জামান বিদ্যালয় তহবিলে ২ কিস্তি পরিষদের পর ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হলে তিনি আর টাকা জমা দেননি।
এদিকে বর্তমান পরিচালনা কমিটি ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা করে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৭৮১ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পান। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহআলম মজুমদার গত ৩০ সেপ্টেম্বর লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামানকে নিরীক্ষা কপিসহ নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আপনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিরুদ্ধে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না আগামী তিন দিনের মধ্যে সভাপতি বরাবর লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ রইল। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশ প্রদানের ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি এর কোনো জবাব দেননি। বরং তড়িঘড়ি করে নিজ উদ্যোগে নিজের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এরই মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে ইউএনও, শিক্ষা অফিসার, জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে ব্যানার ছাপানো হয়েছে। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তারা কিছুই জানে না এবং তাদের অনুমতি না নিয়েই অতিথি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যে কোনো অনিয়মের প্রতিবাদে জামায়াত সব সময় সোচ্চার বলেও দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, মো. কামরুজ্জামান সাবেক চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের সহযোগিতায় ২০১১ সালের তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। ওই সময়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পরিচালনা কমিটির একাংশের সাথে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সৃষ্ট বিরোধের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির পক্ষের সন্ত্রাসীরা দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র মোকতার আহমেদ চৌধুরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পাঁচ দিন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে ওই বছরের ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৩টি বিষয়ে নির্বাচনি পরীক্ষা ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ শ্রেণি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ওই সময়ে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক থাকায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আন্দোলন দমন করে ১০ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। এরপর তিনি বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। এতে বিদ্যালয় এবং আমাদের এলাকার সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা চাই, তদন্তপূর্বক দুর্নীতিবাজ ও অর্থ লুটপাটকারী মো. কামরুজ্জামানের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক। যাতে ভবিষ্যতের দেশের কোনো শিক্ষক বিদ্যালয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের সাহস না পায়।
অভিযুক্ত তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অর্থনৈতিক যে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে তা প্রমাণ করতে পারবে না। তা ছাড়া এই কমিটির কোনো বৈধতা নেই। তারা অডিট করলো? অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি আইনগত মোকাবিলা করবো। সভাপতিকে না জানিয়ে নিজেই নিজের বিদায় অনুষ্ঠানে আয়োজন কীভাবে করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাহ আলম সাহেবকে জানিয়েই এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। আমার একা মতে নয়।
২০১৯ সালের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আইয়ুব আলী খান বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা বিদ্যালয়ের এক বছরের আয় ব্যয় হিসাব নিরীক্ষা করে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৬ টাকার গরমিল পাই। এর সঙ্গে প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানসহ একাধিক শিক্ষক জড়িত ছিল। পরে কামরুজ্জামান বিদ্যালয় ফান্ডে ১ লাখ টাকা করে ২ কিস্তি জামা দেয়ার পর আমাদের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর বাকী টাকা দিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই।
বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহআলম মজুমদার বলেন, রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। প্রধান শিক্ষকের সার্বিক সহযোগিতায় নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে অডিট সম্পন্ন হয়। সেখানে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৭৮১ টাকা গরমিল পাওয়া যায়। সেই রিপোর্ট তাকে দেওয়া হলে তিনি গ্রহণ করেননি। এরপর তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে তিন দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে এর জবাব দিতে বলা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বিষয়ে অফিসিলি কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ. কে. এম মীর হোসেন বলেন, রোববার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়েছে। সভাপতিসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তপূর্বক এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্ত শিক্ষককে অবশ্যই আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দিতে হবে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামাল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে প্রায় ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে, আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত না দিয়ে তড়িঘড়ি করে নিজেই বিদায় সংবর্ধনা আয়োজন করে অবসরে যাওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মো. কামরুজ্জামান উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্র মতে, ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর মো. কামরুজ্জামান তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্নভাবে আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভ্যন্তরীণ এক নিরীক্ষায় ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। পরে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের মধ্যস্থতায় ৪ কিস্তিতে বিদ্যালয়কে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ শর্তে রফাদফা হয়। এরপর কামরুজ্জামান বিদ্যালয় তহবিলে ২ কিস্তি পরিষদের পর ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হলে তিনি আর টাকা জমা দেননি।
এদিকে বর্তমান পরিচালনা কমিটি ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা করে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৭৮১ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পান। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহআলম মজুমদার গত ৩০ সেপ্টেম্বর লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামানকে নিরীক্ষা কপিসহ নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আপনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিরুদ্ধে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না আগামী তিন দিনের মধ্যে সভাপতি বরাবর লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ রইল। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশ প্রদানের ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি এর কোনো জবাব দেননি। বরং তড়িঘড়ি করে নিজ উদ্যোগে নিজের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এরই মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে ইউএনও, শিক্ষা অফিসার, জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে ব্যানার ছাপানো হয়েছে। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তারা কিছুই জানে না এবং তাদের অনুমতি না নিয়েই অতিথি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যে কোনো অনিয়মের প্রতিবাদে জামায়াত সব সময় সোচ্চার বলেও দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, মো. কামরুজ্জামান সাবেক চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের সহযোগিতায় ২০১১ সালের তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। ওই সময়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পরিচালনা কমিটির একাংশের সাথে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সৃষ্ট বিরোধের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির পক্ষের সন্ত্রাসীরা দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র মোকতার আহমেদ চৌধুরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পাঁচ দিন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে ওই বছরের ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৩টি বিষয়ে নির্বাচনি পরীক্ষা ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ শ্রেণি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ওই সময়ে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক থাকায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আন্দোলন দমন করে ১০ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। এরপর তিনি বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। এতে বিদ্যালয় এবং আমাদের এলাকার সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা চাই, তদন্তপূর্বক দুর্নীতিবাজ ও অর্থ লুটপাটকারী মো. কামরুজ্জামানের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক। যাতে ভবিষ্যতের দেশের কোনো শিক্ষক বিদ্যালয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের সাহস না পায়।
অভিযুক্ত তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অর্থনৈতিক যে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে তা প্রমাণ করতে পারবে না। তা ছাড়া এই কমিটির কোনো বৈধতা নেই। তারা অডিট করলো? অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি আইনগত মোকাবিলা করবো। সভাপতিকে না জানিয়ে নিজেই নিজের বিদায় অনুষ্ঠানে আয়োজন কীভাবে করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাহ আলম সাহেবকে জানিয়েই এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। আমার একা মতে নয়।
২০১৯ সালের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আইয়ুব আলী খান বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা বিদ্যালয়ের এক বছরের আয় ব্যয় হিসাব নিরীক্ষা করে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৬ টাকার গরমিল পাই। এর সঙ্গে প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানসহ একাধিক শিক্ষক জড়িত ছিল। পরে কামরুজ্জামান বিদ্যালয় ফান্ডে ১ লাখ টাকা করে ২ কিস্তি জামা দেয়ার পর আমাদের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর বাকী টাকা দিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই।
বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহআলম মজুমদার বলেন, রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। প্রধান শিক্ষকের সার্বিক সহযোগিতায় নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে অডিট সম্পন্ন হয়। সেখানে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৭৮১ টাকা গরমিল পাওয়া যায়। সেই রিপোর্ট তাকে দেওয়া হলে তিনি গ্রহণ করেননি। এরপর তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে তিন দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে এর জবাব দিতে বলা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বিষয়ে অফিসিলি কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ. কে. এম মীর হোসেন বলেন, রোববার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়েছে। সভাপতিসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তপূর্বক এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্ত শিক্ষককে অবশ্যই আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দিতে হবে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামাল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে