চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চারটি ওয়ার্ডের প্রায় ছয় হাজার মানুষ ভূমি ধ্বসের ঝুঁকিতে রয়েছে। আগাম প্রস্তুতি না সারলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য চসিক, সিডিএ, ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
রোববার নগরের একটি হোটেলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসা আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব তথ্য দেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাহাড়ধস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আগাম প্রস্তুতি কর্মপরিকল্পনা যাচাই" বিষয়ক ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম।
এতে বক্তারা বলেন, পাহাড়, মানুষ এবং নগরায়ণের সহাবস্থানকে টেকসই করার যে চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে, ভূমিধস, সেই চ্যালেঞ্জের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপগুলোর একটি। অথচ আমাদের চট্টগ্রাম শহরের ৭,৮, ৯ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড দীর্ঘদিন ধরেই ভূমিধস–ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর আগে বড়- ধরণের ঘটনায় মৃত্যুর নজিরও রয়েছে এসব এলাকায়। পাহাড় কাটা, অনিয়ন্ত্রিত বসতি, বৃষ্টিপাতের পরিবর্তিত ধারার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেই ঝুঁকির পরিধি এখন দ্রুত বাড়ছে। এই বাস্তবতায় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন প্ল্যান আমাদের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, কারণ এটি দুর্যোগের পূর্বে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
ইপসার প্রকল্প কর্মকর্তা মুহাম্মদ আতাউল হাকিমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপসার পরিচালক ( সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট) নাছিম বানু, বিশেষ ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল সরোয়ার, ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট অফ বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার।
সভাপতি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশল মো. নুরুল করিম বক্তব্যে বলেন ভূমিধস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আর কোনো বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ নয়; এটি চট্টগ্রামের দৈনন্দিন উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি অবশ্যপালনীয় অংশ। আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা, কমিউনিটি প্রস্তুতি, অবকাঠামো সুরক্ষা এবং পরিকল্পিত নগরায়ণ, এসব ছাড়া নিরাপদ চট্টগ্রাম গড়া সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েছে।

