সিদ্ধিরগঞ্জে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু, আইসিইউতে আরো তিনজন

উপজেলা প্রতিনিধি, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ১৫
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ১৯

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুটি টিনশেড ঘরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ নয়জনের মধ্যে হাসান গাজী (৪০) নামে আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন সুলতান মাহমুদ শিকদার। তিনি বলেন, হাসান গাজীর শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আরও জানান, হাসান গাজীর মেয়ে জান্নাত (৪), স্ত্রী সালমা (৩৫) ও শ্যালিকা আসমার (৩২) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। তাদের শরীরেরও প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

এর আগে গত রোববার ভোরে হাসান গাজীর এক মাস বয়সী শিশুসন্তান ইমাম উদ্দিন, সোমবার সন্ধ্যায় তার শাশুড়ি তাহেরা আক্তার (৫৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে তিনটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী সিআইখোলা এলাকার রনি সিটি সংলগ্ন জাকির খন্দকারের টিনশেড বাড়ির দুটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের নয়জন দগ্ধ হয়। আহতরা হলেন হাসান (৩৭), সালমা (৩০), মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪), রাইয়ান (৪ মাস), আসমা (৩৫), তিসা (১৬) ও আরাফাত (১৩)। তারা ওই বাড়িতে দুটি রুমে ভাড়া থাকতো।

ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, তিতাসের গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসীর দাবি, সেই বাড়ির নিচ দিয়ে মোটা গ্যাসের পাইপ আছে। সেই পাইপের লিকেজ থেকে বহুদিন ধরে ওই এলাকায় গ্যাসের তীব্র গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। আগেও একই কারণে ছোটখাটো অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। যে ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরণের কথা বলা হচ্ছে, সেটি এখনো অক্ষত রয়েছে। কমপ্রেসার বিস্ফোরিত হলে ফ্রিজটি এখনো অক্ষত রয়েছে কীভাবে?

এদিকে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের পর্যবেক্ষণে কোনো গ্যাস লিকেজ পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসও গ্যাস বিস্ফোরণের প্রমাণ পায়নি, তবে অধিকতর তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত