সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণ মহিলা লীগ নেত্রীর

এস এম রাসেল, মাদারীপুর
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ০২

মাদারীপুরে জেলা মহিলা লীগের সভাপতি নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। মার্কেটের ১৬টি দোকান ভাড়া দিয়ে জামানত হিসেবে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। নার্গিস মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাজারের পাশে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।

বিজ্ঞাপন

মার্কেটে ১৬টি দোকান তৈরি করেন। এসব দোকান থেকে ৩ থেকে ৫ লাখ করে জামানত নিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এমনকি মার্কেটের সামনের ফুটপাতের জমিও ভাড়া নিতে দিতে হয়েছে ২-৩ লাখ টাকা। তাদের কাছ থেকে ভাড়াবাবদ প্রতিমাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে নিচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি ২০১৯ সালে সাবেক নৌমন্ত্রী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রভাবশালী শ্রমিকনেতা শাজাহান খানের ছত্রছায়ায় সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই হয়ে ওঠেন বেপরোয়া।

স্থানীয় দোকানদার ও এলাকাবাসী বলেন, আমরা ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসায় করি। প্রতিমাসে ভাড়ার টাকা দেই। এখন শুনি জায়গা সরকারি। সরকার যদি এটা উচ্ছেদ করে তবে ভালো। কিন্তু আমরা যে টাকাগুলো তাকে জামানত দিয়েছি, আমরা যেন সেই টাকা ফেরত পাই সেই ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানাই।

অভিযুক্ত নারগিস আক্তারের ভাই বেলায়েত হোসেন জানান, আগে আমি প্রতিমাসে এসব দোকান থেকে ভাড়া উঠাতাম। এটা আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে সরকার পতনের পর অনেকেই ভাড়া দিচ্ছে না। আর এই জমি সরকারি কিনা তা আমি জানি না। '

মাদারীপুর সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, সরকারি জমি দখল করে নারগিস আক্তার মার্কেট নির্মাণ করেছেন। এটা অন্যায়। আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আলেয়া বেগম বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যে দোকানগুলো করেছেন সেই জমি আমাদের ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জমি। এ বিষয়ে তার কাছে আমরা কাগজপত্র চেয়েছিলাম কিন্তু সে সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এরপরে আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

মাদারীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত