
আমার দেশ অনলাইন

নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অধিবাসী গাজী সালাউদ্দীন। পেশায় শিক্ষক। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যখন নির্বিচারে ছাত্রদের হত্যা করা হচ্ছিল, তখন তিনি ঘরে বসে থাকতে পারেননি। ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনে যুক্ত হন। আন্দোলন চলাকালে স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হন। সে সময়ে বেঁচে ফিরলেও গলায় বিঁধে থাকা স্প্লিন্টারের কারণে অবশেষে হার মানলেন জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দীন।
রোববার রাত দশটার টার দিকে এ জুলাই যোদ্ধা জেলার ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ সোমবার সকাল দশটায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাজার এলাকায় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তার মৃত্যুর তথ্যটি এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই মীর স্নিগ্ধ। তার পোস্টটি শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে মীর স্নিগ্ধ বলেন, ‘জুলাই শহীদের তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি নাম। এই তালিকা কবে থামবে—কেউ জানে না। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
তিনি জানান, ‘গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, গাজী সালাউদ্দীন ভাই আর আমাদের মাঝে নেই। নারায়ণগঞ্জের এই আহত যোদ্ধা এক চোখ হারিয়েছিলেন গুলিতে। শরীরের আরো কয়েক স্থানে ছিল একাধিক স্প্লিন্টার। তার গলায় আটকে থাকা একটি স্প্লিন্টার, যা অপসারণ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, সেই থেকেই সৃষ্ট শ্বাসকষ্টে তিনি শেষ পর্যন্ত আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’
নিহত সালাউদ্দিনের স্বজনেরা জানান, জুলাই আন্দোলনের সময় চোখসহ শরীরের আরও কয়েকটি স্থানে গুলির স্পিøন্টার বিঁধে তার। একটি বিঁধে গলায়। গলায় আটকে থাকা এই স্প্লিন্টার অপসারণ করা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। চিকিৎসকদের মতে, সেই স্প্লিন্টার থেকেই সৃষ্ট শ্বাসকষ্টের কারণে তিনি মারা গেলেন।
গাজী সালাউদ্দীনের ছেলে রাতুল বলেন, আমার বাবা সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি ছিলেন। ওনি দেশের জন্য জীবন দিলেন। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গাজী সালাউদ্দীন ছিলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। আন্দোলনে স্প্লিন্টারের আঘাতে তার ডান চোখ পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায় এবং বাম চোখের দৃষ্টিশক্তিও আংশিক ক্ষীণ হয়ে পড়ে। চোখ হারিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ানো তো দূরের কথা, তার চলাচলই ছিল কষ্টসাধ্য। দীর্ঘদিন বেকার অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকেন। পরবর্তীতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় সিদ্ধিরগঞ্জে তার এলাকায় তাকে একটি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, গাজী সালাউদ্দীন সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন। অল্প কিছুদিন আগেই জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় তাকে একটি মুদি দোকান দেওয়া হয়েছিল—জীবনটা নতুনভাবে শুরু করার আশায়। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা তাকে হুমকিও দিয়েছে। লড়াই করেছেন তিনি।

নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অধিবাসী গাজী সালাউদ্দীন। পেশায় শিক্ষক। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যখন নির্বিচারে ছাত্রদের হত্যা করা হচ্ছিল, তখন তিনি ঘরে বসে থাকতে পারেননি। ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনে যুক্ত হন। আন্দোলন চলাকালে স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হন। সে সময়ে বেঁচে ফিরলেও গলায় বিঁধে থাকা স্প্লিন্টারের কারণে অবশেষে হার মানলেন জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দীন।
রোববার রাত দশটার টার দিকে এ জুলাই যোদ্ধা জেলার ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ সোমবার সকাল দশটায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাজার এলাকায় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তার মৃত্যুর তথ্যটি এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই মীর স্নিগ্ধ। তার পোস্টটি শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে মীর স্নিগ্ধ বলেন, ‘জুলাই শহীদের তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি নাম। এই তালিকা কবে থামবে—কেউ জানে না। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
তিনি জানান, ‘গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, গাজী সালাউদ্দীন ভাই আর আমাদের মাঝে নেই। নারায়ণগঞ্জের এই আহত যোদ্ধা এক চোখ হারিয়েছিলেন গুলিতে। শরীরের আরো কয়েক স্থানে ছিল একাধিক স্প্লিন্টার। তার গলায় আটকে থাকা একটি স্প্লিন্টার, যা অপসারণ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, সেই থেকেই সৃষ্ট শ্বাসকষ্টে তিনি শেষ পর্যন্ত আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’
নিহত সালাউদ্দিনের স্বজনেরা জানান, জুলাই আন্দোলনের সময় চোখসহ শরীরের আরও কয়েকটি স্থানে গুলির স্পিøন্টার বিঁধে তার। একটি বিঁধে গলায়। গলায় আটকে থাকা এই স্প্লিন্টার অপসারণ করা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। চিকিৎসকদের মতে, সেই স্প্লিন্টার থেকেই সৃষ্ট শ্বাসকষ্টের কারণে তিনি মারা গেলেন।
গাজী সালাউদ্দীনের ছেলে রাতুল বলেন, আমার বাবা সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি ছিলেন। ওনি দেশের জন্য জীবন দিলেন। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গাজী সালাউদ্দীন ছিলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। আন্দোলনে স্প্লিন্টারের আঘাতে তার ডান চোখ পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায় এবং বাম চোখের দৃষ্টিশক্তিও আংশিক ক্ষীণ হয়ে পড়ে। চোখ হারিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ানো তো দূরের কথা, তার চলাচলই ছিল কষ্টসাধ্য। দীর্ঘদিন বেকার অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকেন। পরবর্তীতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় সিদ্ধিরগঞ্জে তার এলাকায় তাকে একটি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, গাজী সালাউদ্দীন সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন। অল্প কিছুদিন আগেই জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় তাকে একটি মুদি দোকান দেওয়া হয়েছিল—জীবনটা নতুনভাবে শুরু করার আশায়। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা তাকে হুমকিও দিয়েছে। লড়াই করেছেন তিনি।

ফরিদপুরের ৩টি উপজেলায় ও পৌরসভার সদ্যঘোষিত বিএনপির উপজেলা ও পৌর কমিটিতে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের পদধারী কমপক্ষে ১৫ জন এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে- এমন কমপক্ষে ১২ জন স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাত ১২টার দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে হামলা চালায়। এ সময় সিটি ইউনিভার্সিটির ভিসি অফিস, রেজিস্ট্রার অফিস, প্রো-ভিসি অফিস, কনফারেন্স রুম, কম্পিউটার ল্যাব, অ্যাকাউন্টস অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়। এছাড়া ক্যাম্পাসে
৩ ঘণ্টা আগে
এনসিপির ওই সভায় হঠাৎ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক ছাত্রনেতা ওমর ফারুক ওরফে দাড়ি ওমর উপস্থিত হয়ে সারজিস আলমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।
৩ ঘণ্টা আগে
ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেও কোনো চাকরি পায়নি অথচ এই বাংলাদেশে অন্তত ১২ লক্ষ বিদেশি নাগরিক চাকরি করে খাচ্ছে যার অধিকাংশই ভারত আর চীনের। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল প্রজেক্টে শতশত ইঞ্জিনিয়ার বাইরে থেকে আনা হয়েছে অথচ আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ করার সুযোগ হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে