উপজেলা প্রতিনিধি, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে অতি-দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। প্রত্যেক কাডের্ই ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ লেখা আছে। বড় বড় অক্ষরে বোল্ট করে লেখা কার্ডের মাধ্যমেই দরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতি কার্ডে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতি কেজি ১৫ টাকা করে।
জানা গেছে, সারা দেশে ৫০ লাখ কার্ডের মাধ্যমে এই চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এতে জুলাই যোদ্ধাসহ এলাকার সাধারণ জনগণ চরম ক্ষোভ ও হতাশার কথা জানিয়েছেন এই প্রতিবেদককে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সমাজের পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র তথা অতি দরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু করা হয় বিগত ২০১৪ সালে। সারাদেশে ৫০ লাখ অতি দরিদ্র বাঁছাইয়ে আওয়ামী কর্মীদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। তালিকায় ৯৯ শতাংশই কোনো না কোনো ভাবে আওয়ামী পরিবারের সদস্য অন্তর্ভুক্ত। আওয়ামী পরিবারের মধ্যে কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণের জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নে এমপির স্থানিয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারের মাধ্যমে দুইজন করে আওয়ামী ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। শিবালয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন শীল নকুল ও সহ-সভাপতি একেএম তারিককে ডিলার নিয়োগ করা হয় বিগত দিনে।
এর মধ্যে নকুল শীল ভিন্ন মতের কার্ডধারীদের কার্ড আটকে দিয়ে তাদের প্রাপ্য চাল আত্মসাৎ করতে থাকে চার বছর যাবত। এভাবে সে কোটি টাকার চাল আত্মসাৎ করেছে। বিষয়টি নিয়ে তখন বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও নকুল শীলের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ওই সময় ভিন্নমতের যারা আওয়ামী ডিলারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিল তাদেরকেই তালিকা হতে বাদ দেয়া হয়।
এতে দরিদ্রদের মাঝে হতাশা এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নেতা চাল বিক্রির ডিলার ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হলেও ১৪ মাস পরেও তার নাম খচিত কার্ডের মাধ্যমেই বিতরণ করা হচ্ছে চাল। গত কয়েক মাস বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং আওয়ামী অতি দরিদ্রদের হাতের কার্ড দেখে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এসব বিষয় নিয়ে উপজেলা ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের দলীয় লোকজনের মাঝে এইসব কার্ড বিতরণ করেছে। এখনও তার দোসররাই তার নামের শ্লোগান সম্বলিত কার্ডের মাধ্যমেই চাল বিতরণ করছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি এবং নিন্দা জানাই।
একই বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. সোহেল রানা বলেছেন, এসব অপকর্মের সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের সবাই শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
একই সুরে কথা বলেছেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন। তারা সবাই বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে জেলা খাদ্য-কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার কথা বললেও তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মো. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, আগের কার্ডের পরিবর্তে নতুন কার্ড ইস্যু করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। নতুন ইস্যু হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে অতি-দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। প্রত্যেক কাডের্ই ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ লেখা আছে। বড় বড় অক্ষরে বোল্ট করে লেখা কার্ডের মাধ্যমেই দরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতি কার্ডে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতি কেজি ১৫ টাকা করে।
জানা গেছে, সারা দেশে ৫০ লাখ কার্ডের মাধ্যমে এই চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এতে জুলাই যোদ্ধাসহ এলাকার সাধারণ জনগণ চরম ক্ষোভ ও হতাশার কথা জানিয়েছেন এই প্রতিবেদককে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সমাজের পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র তথা অতি দরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু করা হয় বিগত ২০১৪ সালে। সারাদেশে ৫০ লাখ অতি দরিদ্র বাঁছাইয়ে আওয়ামী কর্মীদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। তালিকায় ৯৯ শতাংশই কোনো না কোনো ভাবে আওয়ামী পরিবারের সদস্য অন্তর্ভুক্ত। আওয়ামী পরিবারের মধ্যে কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণের জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নে এমপির স্থানিয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারের মাধ্যমে দুইজন করে আওয়ামী ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। শিবালয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন শীল নকুল ও সহ-সভাপতি একেএম তারিককে ডিলার নিয়োগ করা হয় বিগত দিনে।
এর মধ্যে নকুল শীল ভিন্ন মতের কার্ডধারীদের কার্ড আটকে দিয়ে তাদের প্রাপ্য চাল আত্মসাৎ করতে থাকে চার বছর যাবত। এভাবে সে কোটি টাকার চাল আত্মসাৎ করেছে। বিষয়টি নিয়ে তখন বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও নকুল শীলের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ওই সময় ভিন্নমতের যারা আওয়ামী ডিলারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিল তাদেরকেই তালিকা হতে বাদ দেয়া হয়।
এতে দরিদ্রদের মাঝে হতাশা এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নেতা চাল বিক্রির ডিলার ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হলেও ১৪ মাস পরেও তার নাম খচিত কার্ডের মাধ্যমেই বিতরণ করা হচ্ছে চাল। গত কয়েক মাস বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে এবং আওয়ামী অতি দরিদ্রদের হাতের কার্ড দেখে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এসব বিষয় নিয়ে উপজেলা ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের দলীয় লোকজনের মাঝে এইসব কার্ড বিতরণ করেছে। এখনও তার দোসররাই তার নামের শ্লোগান সম্বলিত কার্ডের মাধ্যমেই চাল বিতরণ করছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি এবং নিন্দা জানাই।
একই বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. সোহেল রানা বলেছেন, এসব অপকর্মের সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের সবাই শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
একই সুরে কথা বলেছেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন। তারা সবাই বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে জেলা খাদ্য-কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার কথা বললেও তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মো. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, আগের কার্ডের পরিবর্তে নতুন কার্ড ইস্যু করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। নতুন ইস্যু হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আমির হামজা (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেবিকেলে প্রায় ৩০–৪০ যুবক দোস্ত বিল্ডিংয়ে এসে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। হামলাকারীদের হাতে হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা ছিল। ভাঙচুর শেষে তারা ভবনটির তৃতীয় তলায় থাকা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং মুজিব সেনা কার্যালয়ে অবস্থান নেয়।
৫ ঘণ্টা আগেসোহাগ হোসাইন বলেন, “গণ-অধিকার পরিষদ একটি গণমুখী, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দেশের প্রতিটি মানুষের অধিকার ও মর্যাদার নিশ্চয়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি—জনগণের মতামত, সমস্যার বাস্তব চিত্র এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য সংলাপ, জনসম্পৃক্ততা ও স্বচ্ছতা অপরিহার্য।”
৭ ঘণ্টা আগেবন্দর থানার ওসি আফতাব আহমেদ আমার দেশকে বলেন, আটক দুজনের নাম মো. শাহাদাত ও মো. আকাশ। তারা চট্টগ্রাম শহরের বাসিন্দা। ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল তারা। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ওই দুই যুবক।
৭ ঘণ্টা আগে