
জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদী

আমার দেশ -এ সংবাদ প্রকাশের পর মিথ্যা বলে দাবি করেন তৎকালীন পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান।
তিন মাস পর প্রমাণ হল রিপোর্টের সত্যতা। র্যাবের অভিযানে উদ্ধার হলো বিপুল অস্ত্র-গুলি।
শনিবার (১ নভেম্বর) ভোরে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলার রায়পুরা উপজেলার সায়েদাবাদ এলাকায় এ অভিযান চালায়।
নরসিংদীর বৃহত্তর রায়পুরার চরাঞ্চল সায়েদাবাদ এলাকায় পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে দিচ্ছে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ, তৈরি হচ্ছে অস্ত্র, আর সেই অস্ত্র দিয়ে চলে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলে অস্ত্রের মহড়া, এতে অকালে প্রাণ হারায় শিশু থেকে বৃদ্ধ নারী-পুরুষ সাধারণ মানুষ। এমনই দুর্বিষহ আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে এ বছরের ৬ আগস্ট আমার দেশ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তদন্ত কাজ চালিয়ে যায়।
তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের ফলে শনিবার (১ নভেম্বর) ভোরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
অভিযানকালে এলাকার সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে।
এই ঘটনায় র্যাবের প্রধান কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,
নরসিংদীর রায়পুরার সায়েদাবাদ এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়শই বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর চরাঞ্চলে সংঘর্ষে সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত হয়, ৯ সেপ্টেম্বর রায়পুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং একজন আহত হয়, ২০ জুলাই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক নারী নিহত হয় এবং ২২ এপ্রিল নরসিংদীর সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের গুলিতে একজন নিহতের মতো ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাগুলো মূলত দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরো জানান, নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে রায়পুরার চরাঞ্চলে আত্মগোপনে চলে যায়। যেহেতু রায়পুরার সায়েদাবাদ এলাকাটি চরাঞ্চল বেষ্টিত তাই সহজে নিজেদের রক্ষা করতে ও আইনের চোখকে ফাঁকি দিতে সন্ত্রাসীরা সেখানে অস্ত্র, গোলাবারুদ মজুদ করে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই দুর্গম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করতে গেলে প্রায়শই সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ অবস্থায় রায়পুরা চরাঞ্চলটি সন্ত্রাসীদের একটি অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলার রায়পুরা উপজেলার সায়েদাবাদ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে দু’টি বিদেশী পিস্তল, পাঁচটি একনলা বন্দুক, একটি দু’নলা বন্দুক, দু’টি এলজি, একটি পাইপগান, তিনটি ম্যাগাজিন ও ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ আটজনের একটি সন্ত্রাসীদলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. শফিক মিয়া (৩২) পিতা মো. ডালিম মিয়া, মো. মোস্তফা (৩৮) পিতা মৃত হাজী সামছুল মিয়া, জাহিদ হাসান (১৭) পিতা মো. দুলাল মিয়া, আয়নাল (৩৮) পিতা মৃত মহাজুদ্দিন, মহিউদ্দিন হৃদয় (২২) পিতা মো. জাকের হোসেন, মো. বাচ্চু মিয়া (৬২) পিতা মৃত আলী হোসেন, কালু মিয়া (৬৯) পিতা মৃত আ. সামাদ (টুক্কু) মিয়া, মো. বাছেদ (৪০) পিতা মৃত খলিল রহমান। সকলের বাড়ি রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল সায়েদাবাদে।
উপরোক্ত আসামিদের মধ্যে মো. শফিক মিয়া (৩২), মো. মোস্তফা (৩৮), জাহিদ হাসান (১৭), মো. বাছেদ (৪০), বাচ্চু মিয়া (৬২)-র নামে একটি করে হত্যা এবং মহিউদ্দিন হৃদয় (২২)-এর নামে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তারা রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়ানোর লক্ষ্যে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রেখেছিল।
গ্রেপ্তার আসামিদেরকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

আমার দেশ -এ সংবাদ প্রকাশের পর মিথ্যা বলে দাবি করেন তৎকালীন পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান।
তিন মাস পর প্রমাণ হল রিপোর্টের সত্যতা। র্যাবের অভিযানে উদ্ধার হলো বিপুল অস্ত্র-গুলি।
শনিবার (১ নভেম্বর) ভোরে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলার রায়পুরা উপজেলার সায়েদাবাদ এলাকায় এ অভিযান চালায়।
নরসিংদীর বৃহত্তর রায়পুরার চরাঞ্চল সায়েদাবাদ এলাকায় পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে দিচ্ছে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ, তৈরি হচ্ছে অস্ত্র, আর সেই অস্ত্র দিয়ে চলে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলে অস্ত্রের মহড়া, এতে অকালে প্রাণ হারায় শিশু থেকে বৃদ্ধ নারী-পুরুষ সাধারণ মানুষ। এমনই দুর্বিষহ আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে এ বছরের ৬ আগস্ট আমার দেশ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তদন্ত কাজ চালিয়ে যায়।
তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের ফলে শনিবার (১ নভেম্বর) ভোরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
অভিযানকালে এলাকার সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে।
এই ঘটনায় র্যাবের প্রধান কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,
নরসিংদীর রায়পুরার সায়েদাবাদ এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়শই বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর চরাঞ্চলে সংঘর্ষে সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত হয়, ৯ সেপ্টেম্বর রায়পুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং একজন আহত হয়, ২০ জুলাই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক নারী নিহত হয় এবং ২২ এপ্রিল নরসিংদীর সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের গুলিতে একজন নিহতের মতো ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাগুলো মূলত দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরো জানান, নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে রায়পুরার চরাঞ্চলে আত্মগোপনে চলে যায়। যেহেতু রায়পুরার সায়েদাবাদ এলাকাটি চরাঞ্চল বেষ্টিত তাই সহজে নিজেদের রক্ষা করতে ও আইনের চোখকে ফাঁকি দিতে সন্ত্রাসীরা সেখানে অস্ত্র, গোলাবারুদ মজুদ করে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই দুর্গম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করতে গেলে প্রায়শই সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ অবস্থায় রায়পুরা চরাঞ্চলটি সন্ত্রাসীদের একটি অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলার রায়পুরা উপজেলার সায়েদাবাদ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে দু’টি বিদেশী পিস্তল, পাঁচটি একনলা বন্দুক, একটি দু’নলা বন্দুক, দু’টি এলজি, একটি পাইপগান, তিনটি ম্যাগাজিন ও ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ আটজনের একটি সন্ত্রাসীদলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. শফিক মিয়া (৩২) পিতা মো. ডালিম মিয়া, মো. মোস্তফা (৩৮) পিতা মৃত হাজী সামছুল মিয়া, জাহিদ হাসান (১৭) পিতা মো. দুলাল মিয়া, আয়নাল (৩৮) পিতা মৃত মহাজুদ্দিন, মহিউদ্দিন হৃদয় (২২) পিতা মো. জাকের হোসেন, মো. বাচ্চু মিয়া (৬২) পিতা মৃত আলী হোসেন, কালু মিয়া (৬৯) পিতা মৃত আ. সামাদ (টুক্কু) মিয়া, মো. বাছেদ (৪০) পিতা মৃত খলিল রহমান। সকলের বাড়ি রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল সায়েদাবাদে।
উপরোক্ত আসামিদের মধ্যে মো. শফিক মিয়া (৩২), মো. মোস্তফা (৩৮), জাহিদ হাসান (১৭), মো. বাছেদ (৪০), বাচ্চু মিয়া (৬২)-র নামে একটি করে হত্যা এবং মহিউদ্দিন হৃদয় (২২)-এর নামে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তারা রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়ানোর লক্ষ্যে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে রেখেছিল।
গ্রেপ্তার আসামিদেরকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বাঁশখালীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আবদুল খালেক নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোররাতে ইলশা এলাকা থেকে তাকে আটক করে। আটক আবদুল খালেক বাহারছড়া ইউপি'র রত্নপুর গ্রামের জনৈক বদরুজ্জামানের পুত্র।
৪ ঘণ্টা আগে
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই গ্রামে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মারিয়া আক্তারের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। এছাড়াও সে ২০২২ সালে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের
৪ ঘণ্টা আগে
জানা গেছে, বাহিনীর প্রধান মুরাদ মূলত নোয়াখালীর দক্ষিণ হাতিয়া এলাকার বাসিন্দা। এখন তিনি নগরের ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, কয়েকবার মাদকসহ গ্রেপ্তারও হয়েছেন। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ-প্রতিবারই তিনি সহজে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসেন এবং আবারও আগের মতো
৫ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর বাজারে পাগলের ধাক্কায় টলির নিচে পড়ে এক দিনমুজুর নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগে