সরকার দেয়নি বলে নিজেরাই সেতু নির্মাণ করছে এলাকাবাসী

উপজেলা প্রতিনিধি, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৪১
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ২৯

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে গাজীখালি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করছেন এলাকাবাসী। কিন্তু অর্থাভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে কাজ। এতে সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী ।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার ধানকোড়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গাজীখালি নদীর ওপর গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন সেতুর দুই পাশের পিলার দৃশ্যমান।

বিজ্ঞাপন

সরকারি দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়েও গাজীখালি নদীর ওপর নির্মাণ করতে পারেনি সেতু। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের ওয়াদা দিলেও তা রক্ষা করতে পারেন নি। ফলে গ্রামবাসী নিজেরাই হাতে তুলে নিয়েছেন সেতু নির্মাণের কাজ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ১৫ বছর ধরে একটি সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন সাটুরিয়ার এলাকাবাসী। দীর্ঘদিনে তারা শুধু আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। বাস্তবে কোনো কাজ হয়নি। ফলে রোগীর পরিবহনে, কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া, শিক্ষার্থী যাতায়াত ও জরুরিসেবা পেতে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এই সেতু নির্মাণ করা হলে প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত সহজ হবে।

গ্রামের একাধিক প্রবীণরা জানান, শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনো রকমে পারাপার করতে হয়, আর বর্ষায় তা সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে।

সেতু নির্মাণ তহবিলের ক্যাশিয়ার শরিফুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসীদের নিয়ে আলোচনা করে নিজেদের টাকায় সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। গত ১ এপ্রিল নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরু করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট, বেইলি সেতু হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৫ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে প্রায় ২০ লাখ টাকার কাজ শেষ হয়েছে।

স্থানীয়রা আশা করছেন, এই সেতু নির্মাণ শেষ হলে তাদের বহু বছরের কষ্ট লাঘব হবে এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমরুল হাসান বলেন, ধানকোড়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে গাজীখালি নদীর ওপর এই সেতুর বিষয়ে কোনো আবেদন পাইনি। সেতু নির্মাণ কাজের তথ্য নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন, সেতু না থাকায় শুকনো মৌসুমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে কলেজে যেতে হয়।

সেতু নির্মাণ তহবিলের ক্যাশিয়ার শরিফুল ইসলাম বলেন, রোজার ঈদের আগে গ্রামের সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গ্রামের বিওশালিসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে সেতু নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা চাওয়া হলে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ টাকা সংগ্রহ হয়েছে। নদীর দুপাশে দুটি পিলার দৃশ্য মান হয়েছে। সেতু নির্মাণের অন্যান্য কাজগুলো এগিয়ে চলছে।

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বহন করা সেই প্রিজন ভ্যানে কী আছে

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের নেয়া হয়েছে ক্যান্টনমেন্টের অস্থায়ী কারাগারে

গাজায় স্বাস্থ্য সংকট কয়েক প্রজন্ম থাকবে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত