সদরপুরে আড়িয়াল খাঁ নদের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল

উপজেলা প্রতিনিধি, সদরপুর (ফরিদপুর)
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৫, ০১: ০১

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদের পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তলিয়ে যাচ্ছে অনেক গ্রাম। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন তিনটি ইউনিয়নের অন্তত এক হাজার মানুষ। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে নদীভাঙন, সাপের উপদ্রব, গোখাদ্য ও নৌযানের সংকট। এছাড়া ভাঙন আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।

জানা গেছে, সপ্তাহজুড়ে আড়িয়াল খাঁ নদ ও পদ্মা নদীর ভাঙনে ঢেউখালী ও আকোটেরচর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বিঘা ফসলি জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। চরমভাবে হুমকিতে রয়েছে নদীর পাশে থাকা ফকির ইটভাটা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে হঠাৎ আড়িয়াল খাঁ নদে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে।

বিজ্ঞাপন

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আড়িয়াল খাঁ নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চরনাছিরপুর ইউনিয়নের মো. চুন্নু মোল্যা বলেন, গত পাঁচ বছরে এমন পানি ঢোকেনি। গ্রামের রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা ছাড়া যোগাযোগ এখন সম্ভব নয়। গবাদিপশু নিয়েও অনেক সমস্যায় আছি। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই বন্যায় রূপ নেবে।

পানি বৃদ্ধি ও চরবাসীর দুর্ভোগ প্রসঙ্গে সদরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নাহার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চরনাছিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রোকন উদ্দীন মোল্যা বলেন, হঠাৎ নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। অনেক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। অধিকাংশ বসতবাড়িতে পানি না উঠলেও তলিয়ে গেছে মাঠের ফসল।

সদরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান বলেন, পানি বৃদ্ধির তথ্য এখনো পাইনি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি প্রবেশ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া সুলতানা জানান, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নদীপাড়ের মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে জরুরি পরিষেবা গ্রহণ করা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত