বিএনপি সরকার নির্মাণ করায় ১৬ বছর সংস্কার করা হয়নি
উপজেলা প্রতিনিধি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা জেলার সংযোগ স্থাপনকারী এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত রূপগঞ্জের বালু নদীর চনপাড়া-ডেমরা সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সেতুর উভয় পাশে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড দিয়েছে। কিন্তু ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। যে কোনো সময় সেতু ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। রাজধানীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালিগঞ্জের যোগাযোগের সুবিধার্থে ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালিগঞ্জ সড়কের চনপাড়া এলাকায় বালু নদীতে এ সেতু নির্মিত হয়।
চনপাড়া এলাকার আবুল হোসেন জানান, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর রূপগঞ্জ থেকে নির্বাচিত তৎকালীন সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে নারায়ণগঞ্জ এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বালু নদীর ওপর চনপাড়া-ডেমরা সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১১০ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বালু নদীর চনপাড়া-ডেমরা সেতুর উভয় পাশে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা দুটি সাইনবোর্ড। সেতু থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। সেতুর পিলার, র্যালিংয়ের রড বেরিয়ে গেছে। সেতুর পিলার ঘেঁষে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল করছে।
কখনো কখনো বাল্কহেডের ধাক্কায় পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেতু দিয়ে এখনো ঝুঁকি নিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। গাড়ি পারাপারের সময় সেতু কেঁপে ওঠে। সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুর পাশে নতুন করে আরো একটি ব্রিজ নির্মাণ করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। কবে নাগাদ শুরু হবে, তাও কেউ বলতে পারছেন না। নদীতে চলমান ট্রলারের ধাক্কায় সেতুর চারটি পিলার, ভিম ও রেলিংয়ের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বালু নদী দিয়ে প্রতিনিয়ত বালুবাহী বাল্কহেড ও মালবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল করে। এসব নৌ-পরিবহনের ধাক্কায় সেতুর পিলার, ভিম ও রেলিংয়ের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ছে।
ডেমরার মীরপাড়া এলাকার গৃহবধূ ছালেহা আক্তার বলেন, সেতুর পূর্বপাড় বড়ালু গ্রামে আমার বাবার বাড়ি। সেতুটি পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি যেতে পারি না। সেতুটি ভেঙে যদি নদীতে পড়ে যায়,
এ ভয়ে আমার সন্তানরা নানাবাড়ি যায় না। ২০০০ সালের দিকে সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। তখন পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এলজিইডি সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে সাইনবোর্ড দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মেহমুদ মুরশেদ উল আল আমিন বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা খন্দকার ফারুক বলেন, বালু নদীর চনপাড়া-ডেমরা সেতু বিএনপি সরকার নির্মাণ করেছিল বলেই গত ১৬ বছর এর কোনো মেরামত কিংবা সংস্কার করা হয়নি। সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় রূপগঞ্জের মানুষ প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে ঢাকায় তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতু অবিলম্বে নতুন করে নির্মাণ করা প্রয়োজন।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, বালু নদীর চনপাড়া-ডেমরা সেতু সম্পর্কে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হচ্ছে। এ সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা জেলার সংযোগ স্থাপনকারী এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত রূপগঞ্জের বালু নদীর চনপাড়া-ডেমরা সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সেতুর উভয় পাশে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড দিয়েছে। কিন্তু ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। যে কোনো সময় সেতু ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। রাজধানীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালিগঞ্জের যোগাযোগের সুবিধার্থে ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালিগঞ্জ সড়কের চনপাড়া এলাকায় বালু নদীতে এ সেতু নির্মিত হয়।
চনপাড়া এলাকার আবুল হোসেন জানান, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর রূপগঞ্জ থেকে নির্বাচিত তৎকালীন সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে নারায়ণগঞ্জ এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বালু নদীর ওপর চনপাড়া-ডেমরা সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১১০ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বালু নদীর চনপাড়া-ডেমরা সেতুর উভয় পাশে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা দুটি সাইনবোর্ড। সেতু থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। সেতুর পিলার, র্যালিংয়ের রড বেরিয়ে গেছে। সেতুর পিলার ঘেঁষে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল করছে।
কখনো কখনো বাল্কহেডের ধাক্কায় পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেতু দিয়ে এখনো ঝুঁকি নিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। গাড়ি পারাপারের সময় সেতু কেঁপে ওঠে। সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুর পাশে নতুন করে আরো একটি ব্রিজ নির্মাণ করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। কবে নাগাদ শুরু হবে, তাও কেউ বলতে পারছেন না। নদীতে চলমান ট্রলারের ধাক্কায় সেতুর চারটি পিলার, ভিম ও রেলিংয়ের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বালু নদী দিয়ে প্রতিনিয়ত বালুবাহী বাল্কহেড ও মালবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল করে। এসব নৌ-পরিবহনের ধাক্কায় সেতুর পিলার, ভিম ও রেলিংয়ের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ছে।
ডেমরার মীরপাড়া এলাকার গৃহবধূ ছালেহা আক্তার বলেন, সেতুর পূর্বপাড় বড়ালু গ্রামে আমার বাবার বাড়ি। সেতুটি পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি যেতে পারি না। সেতুটি ভেঙে যদি নদীতে পড়ে যায়,
এ ভয়ে আমার সন্তানরা নানাবাড়ি যায় না। ২০০০ সালের দিকে সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। তখন পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এলজিইডি সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে সাইনবোর্ড দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মেহমুদ মুরশেদ উল আল আমিন বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা খন্দকার ফারুক বলেন, বালু নদীর চনপাড়া-ডেমরা সেতু বিএনপি সরকার নির্মাণ করেছিল বলেই গত ১৬ বছর এর কোনো মেরামত কিংবা সংস্কার করা হয়নি। সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় রূপগঞ্জের মানুষ প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে ঢাকায় তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতু অবিলম্বে নতুন করে নির্মাণ করা প্রয়োজন।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, বালু নদীর চনপাড়া-ডেমরা সেতু সম্পর্কে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হচ্ছে। এ সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
৩১ মিনিট আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
২ ঘণ্টা আগে