চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি স্থানে বিলবোর্ড ও প্রতীক টাঙানো নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এতে মহিলা ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আহতদের আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম কনক, সদস্য সাজাহান ও আলিম, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজেল হোসেন, ১ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রোকসানা খাতুন ও তার স্বামী রাশিদুল ইসলাম। জামায়াত পক্ষের আহতরা হলেন হারুনের ছেলে মুরাদ আলী, মাহাতাবের ছেলে আরিফ, পলাশের ছেলে লাল্টু, সাদেক আলীর ছেলে ওল্টু এবং তার মেয়ে ফাতেমা খাতুন।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন বলেন, জামায়াত পরিচয়ে যুবলীগ কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের ৬জন নেতাকর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
অপরদিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল বলেন, দাঁড়িপাল্লা টাঙাতে গেলে বিএনপির মহিলা ইউপি সদস্য ও তার স্বামী বাধা দেন। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দর্শনা থানার মদনা-পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামে বিলবোর্ড স্থাপনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সকালে শুরু হওয়া বিরোধের জেরে দুপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন আহত হয়েছেন। আহতরা হচ্ছেন জামায়াত সমর্থক খাজা এবং বিএনপি সমর্থক আজিজুল ইসলাম।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুলতান মাহমুদ বলেন, বিলবোর্ড স্থাপনকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। দুইজন আহত হওয়ার কথা শুনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে

