আত্মবিশ্বাস আর কঠোর পরিশ্রমে ইউটিউব দেখে পাঁচ বিঘা জমিতে চায়না জাতের কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন হাবিবুর। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে সারি সারি কমলার বাগান। দূর থেকেই টের পাওয়া যায় পাকা কমলার মিষ্টি গন্ধ। শুধুই কৌতূহল ও আগ্রহ থেকে ইউটিউব দেখে শুরু করেছিলেন বিদেশি ফল চাষের এক নতুন অধ্যায়। আজ সেই আগ্রহই তাকে এনে দিয়েছে বাড়তি আয়ের নতুন এক সম্ভাবনা।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে এই কমলা বাগান শুধু একজন কৃষকের সফলতা নয়, এটি বদলে দিয়েছে পুরো অঞ্চলের কৃষিবৈচিত্র্য ও আর্থিক চিত্র। চার বছর আগের ইউটিউব ভিডিওতে জন্ম নেওয়া এক কৌতূহল আজ বাস্তবে তৈরি করা এক বাণিজ্যিক বাগান। কমলার সুবাস এখন বেগমপুর গ্রামের নতুন পরিচয়। এখন কমলার বাজারও বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, এমনকি দূর জেলা থেকে মানুষ আসছেন বাগানটি দেখতে। কেউ ফল কিনে নিচ্ছেন, কেউ ছবি তুলছেন, আবার কেউ পরামর্শ নিচ্ছেন, নিজেরাও কমলা চাষ শুরু করবেন বলে। বাগানের কর্মচারী সোহাগ বলেন, আমি এই কমলা বাগানে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত থাকি এবং দেখা শোনা করি। প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে। কেউ কমলা কিন্তে কেউবা বাগান দেখতে।
কমলা চাষি হাবিবুর জানান, ইউটিউবে দেখলাম দেশে-বিদেশে অনেকেই কমলা চাষ করছে। শুরুর বছরগুলোতে পরিচর্যা, সার, পানি ও রোগবালাই নিয়েই দুশ্চিন্তায় ছিলাম বেশি। মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, মহেশপুর অঞ্চলের মাটি সব ধরনের ফলচাষের জন্য উপযোগী। কমলা, মাল্টা ও লেবু জাতীয় ফসলে এখানে ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। হাবিবুরের বাগানটি আমাদের জন্যও একটা সফলতার উদাহরণ। মাটি ও আবহাওয়া কমলা চাষের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় ফলনও ভালো হচ্ছে। রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক পরিচর্যার সব ধরনের পরামর্শ আমরা তাদের দিয়ে যাচ্ছি।

