জ্ঞান না ফেরায় অবশেষে মাকে না জানিয়েই জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে ছেলের। এরআগে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় ভূমিকম্পে মারা যায় রাফি। তিনি ‘স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ’র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি শহরের খান্দারে মিশন হাসপাতালের পাশে। বাবার নাম ওসমান গনী। তার বাবা বগুড়া সরকারি কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ।
তার মা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে শনিবার বাদ জোহর শহরের সূত্রাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে মাঠে রাফিউল ইসলাম রাফির (২২) জানাজা হয়েছে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তার জানাজা হয়।
জানা গেছে, রাজধানীর বংশালের কসাইটুলি এলাকায় মায়ের সাথে বাজার থেকে ফেরার পথে শক্তিশালী ভূমিকম্পে একটি ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে মা-ছেলে গুরুতর আহত হয়। এরপর দুজনকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে রাফির মা এখনও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে এখনো ছেলের মৃত্যুর খবর জাননো হয়নি। রাফিউলের বাবা ওসমান গনি জানান, ডাক্তারের পরামর্শে রাফির মাকে ছেলের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়নি।
জানাজার সময় রাফির চাচা রফিকুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, আমার ভাতিজা রাফি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ত। তার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া। সে বগুড়া ওয়াইএমসিএ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়েছে।

