সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ভূঁইয়াগাঁতী পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের সামনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল–ট্রাক সংঘর্ষে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।
নিহত সাইফুল ইসলাম ঘুড়কা ইউনিয়নের রয়হাটি গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ শেখের ছেলে। তিনি পেশায় পশু চিকিৎসক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
দুর্ঘটনার পর মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা–বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভূঁইয়াগাঁতী পল্লী বিদ্যুতের সামনে তাদের মাত্র বিশ ফুট জায়গা রাস্তা নির্মাণের জন্য না ছাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে সড়ক নির্মাণে বাধা তৈরি হয়েছে। ফলে উভয় দিকের গাড়ি একই লেনে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গত নয় মাসে শুধু এই স্থানে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ৩০ জন পঙ্গু ও মারাত্মক আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় জনমনে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ জমে ছিল।
ঘটনার পর হাইওয়ে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে এলে উত্তেজিত জনতা তাদের ধাওয়া দেয়। এতে পুলিশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
পরে খবর পেয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এক সপ্তাহের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অংশটি সংস্কার করে রাস্তার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে জনতা অবরোধ তুলে নেয়।
এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা ভূঁইয়াগাঁতী পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের কয়েকটি অংশে ভাঙচুর চালায়।

