চাঁপাইনবাবগঞ্জের খাদ্যপণ্য প্রস্তুত ও বিপণনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার ৯৫০ কেজি পাম তেল জব্দের পর আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
গতকাল শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে কোম্পানিটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন আদর্শ গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাদিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, পরিচালক খাইরুল ইসলামসহ অন্যরা।
যদিও পুলিশ পাম তেল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, অন্য একটি মামলায় চোরাই পণ্য হিসেবে জব্দ করে আদালতে জমা দেয়া হয়েছে তেলগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে সাদিকুল ইসলাম দাবি করেন, আদর্শ গ্রুপ অব কোম্পানির প্রতিষ্ঠান আদর্শ ব্রাদার্স ভাণ্ডারের নামে ক্রয় করা ১৩ হাজার ৯৫০ কেজি (৭৫ ড্রাম) পাম তেল গত ২১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে নিজস্ব ট্রাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আনা হচ্ছিল। পথে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানা পুলিশ পাম তেলসহ ট্রাকটি আটক করে।
বিষয়টি নিয়ে রায়গঞ্জ থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করার পর মালামাল ক্রয়ের মেমোসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকপি জমা দেয়া হয়। কিন্তু ওসি তেল ও ট্রাক ফেরত না দিয়ে নানান টালবাহানা শুরু করে। পরবর্তীতে জানানো হয় তেল ও ট্রাক আদালতের মাধ্যমে ফেরত নিতে হবে।
সাদিকুল ইসলাম বলেন, ২৫ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের আদালতে গিয়ে জানতে পারেন ট্রাকটি অন্য একটি মামলায় জব্দ করে পুলিশ। তবে ট্রাকে থাকা পাম তেল জব্দ তালিকায় নেই।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে অবৈধভাবে ট্রাক ও ১৩ হাজার ৯৫০ কেজি পাম তেল জব্দ করে আত্মসাতের অভিযোগে রায়গঞ্জ থানার ওসি কে. এম মাসুদ রানা ও এসআই ফিরোজসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার ওসি (সদ্য বদলি) কেএম মাসুদ রানা বলেন, ওই ট্রাকে যে তেল পাওয়া গেছে তা একটি চোরাই গোডাউন থেকে লোড করা হয়েছে। পুলিশ তেলসহ ট্রাকটি জব্দ করে আদালতে জমা দেয়। এখন বিষয়টি আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে।
একই দাবি করে পুলিশের রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম খান বলেন, পাম তেল আত্মসাতের অভিযোগ অবান্তর। তেল আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। অন্য একটি ছিনতাই মামলায় তেলগুলো জব্দ দেখিয়ে আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।

