তারেক রহমান দেশে আসার খবরে জেগেছে বগুড়া জেলা। চলছে তাঁর পুরোনো বাসা সংস্কারের কাজ। প্রচুর শ্রমিক নিয়োজিত হয়েছেন। কেউ বাসার গেট ঠিক করছেন, আবার কেউ ময়লা পরিষ্কার ও বাসা রং করার কাজ করছেন।
বগুড়ার সূত্রাপুরের রিয়াজ কাজী লেনে তার ব্যক্তিগত বাসাটি বহুদিন ধরেই অযত্নে পড়ে আছে। একসময় উত্তরাঞ্চলের রাজনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই বাসাটি। কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার ও পরবর্তীকালে বিদেশ যাত্রার পর থেকে বাড়িটি কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। গত ৫ দিন ধরে ২০ জন করে নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছেন বলে জানান দেখভালকারী কেয়ারটেকার ওলীউল্লাহ ওলী। ১৮ ডিসেম্বর পরিত্যক্ত গেটটিতে ওয়েল্ডিং ও ঘষাঘষির কাজ করতে দেখা যায়। এছাড়া বাড়ির ভেতরেও নিয়োজিত শ্রমিকরা কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, এসব কাজ তদারকিতে সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার রয়েছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদারের বাড়ির কেয়ারটেকার সূত্রে জানা যায়, তাঁর নিজের বাড়ির পাশের ৫ শতক জায়গার ওপরের বাড়িতেই একসময় রাজনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এই বাসাটি তারেক রহমান নিজস্ব খরচে নিরাপত্তা অনুযায়ী বিশেষ নকশায় নির্মাণ করেন। এই বাড়িতেই তিনি উত্তরাঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা করতেন এবং বগুড়ায় এলে নিয়মিত অবস্থান করতেন।
বাড়ির গেট ও দেয়ালের রং উঠে গেছে, চারপাশে জং ধরা চিত্র। কেয়ারটেকার না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটি পরিচর্যার বাইরে। পথচারীরা এখনো ওই বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কৌতূহল নিয়ে তাকান— যেন কোনো ইতিহাসের সাক্ষী।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তারেক রহমান বগুড়া-৬ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে নিজের বাসা থেকেই প্রচারণা চালানোই স্বাভাবিক— এমন মত জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের। তাই বহুদিনের অবহেলায় থাকা ওই বাসা দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে দাবি করছেন তারা।
এদিকে তার আগমনকে কেন্দ্র করে বগুড়া জেলা জেগে উঠেছে। ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল মাঠ থেকে জেলা যুবদলের একটি আনন্দ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে পুলিশ প্লাজার সামনে শেষ হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা নেতৃবৃন্দ। ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রিয় নেতাকে বরণ করতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

