যাকাত ব্যবস্থা চালু করলে দেশে কোন অভাব থাকবে না

এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ একটি উর্বর উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশে যদি রাকাত ব্যবস্থা চালু করা যায় তাহলে আর কোন অভাব থাকবে না। ইসলামী শাসন ব্যবস্থা যদি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে যাকাত আদায় করা অনেক সহজ হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা হাড়িয়াকুটি ইউনিয়নের ডাঙ্গিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রংপুর-২ বদরগঞ্জ তারাগঞ্জ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকে যে সকল অর্থশালীরা টাকা জমা রাখেন সেখান থেকে যদি প্রতিবছর যাকাত আদায় করা হয় তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা দেশের কল্যাণ কাজে লাগাতে পারলে দেশে আর কোন অভাব থাকবে না। অর্থনীতিতে পরিপূর্ণ একটি দেশ গঠন করা সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে কাউকে বিদেশে গিয়ে আর কাজ করতে হবে না। আর এই যাকাত ব্যবস্থা চালু করতে হলে আল কোরআনের বিধান মতে দেশ পরিচালনা করতে হবে। যারা কোরআন এবং আল্লাহর রাসূল (সা:) কে আদর্শ মেনে রাজনীতি করে তাদের দাঁড়াই সম্ভব।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার জন্য জনগণের সামনে অনেকে নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে জনগণের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে দেশের কথা না ভেবে নিজের এবং পরিবারের জন্য বিদেশে অর্থ পাচার করে আলিশান জীবন চলার ব্যবস্থা করেন। তারা দেশের কথা ভাবলে মানুষের কথা ভাবলে দেশ ছেড়ে পালাতে হতো না। তারা দেশকে পঙ্গু করে জনগণকে রাস্তায় রেখে হাজারো কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে অর্থনীতির দিক দিয়ে পঙ্গু করে করে গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে এখন ডর্জন ডর্জন দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মামলা। জামায়াতের ইসলামীর লোকজন ক্ষমতায় গেলে একটি টাকাও বিদেশে পাচার হবে না। কারো বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির মামলাও হবে না। কারণ জামায়তের লোকজন দুর্নীতি করা জানেনা। তারা দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে। তার প্রমাণ দুজন মন্ত্রী ছিলেন তাদের মন্ত্রণালয় একটি টাকারও অনিয়ম দূর্নীতির কেউ অভিযোগ তুলতে পারেননি।

এটিএম আজহার বলেন, আল কোরআনের নির্দেশনা এবং রাসূল (সা:) এর দেখিয়ে যাওয়া আদর্শকে আঁকড়ে ধরে দেশ পরিচালনা করার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। এ দেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হলে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিতে হবে। দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিতে হবে।

হারিয়ারকুটি ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, তারাগঞ্জ উপজেলা জামাতের আমির এস এম আলমগীর হোসেন, নায়েবে আমির শাহ মুহাম্মদ রুস্তম আলীসহ উপজেলা এবং ইউনিয়নের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।