
বাদশাহ ওসমানী, রংপুর

রংপুরে নথ ভিউ হোটেলের মালিক ও ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্মচারী রাকিবুজ্জামান রাব্বি ওরফে জামানকে সাজানো মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। শফিকুল ইসলাম রংপুরে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৭ সালে রংপুরের এলডি হাউস নামে মোবাইল ডিলার প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন ঝিনাইদহের জামান। প্রতিষ্ঠানটি রিয়ালমি, ইনফিনিক্স ও ওয়ানপ্লাস ফোনের ডিলার।
২০২২ সালে সফটওয়্যার ম্যানেজার পদে পদোন্নতি হয় জামানের। সেই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই পদে কাজ করেন তিনি। জামানের কাজ ছিল শুধু কোম্পানি থেকে আসা মোবাইল ফোনের আইএমইআই সফটওয়্যারে সংরক্ষণ করা এবং দিন শেষে তিনি সেই রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে পাঠিয়ে দেওয়া।
প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন ও যাবতীয় টাকার হিসাব সংরক্ষণের কাজ ছিল সহকারী ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার জাকারিয়া রায়হান জয় এবং প্রধান ম্যানেজার আব্দুর রহমানের। প্রতি মাসে অডিট করা এবং যাবতীয় আয়-ব্যয়ের বিবরণী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও মালিকের চাচাতো ভাই রাসিফের কাছে বুঝিয়ে দিতেন তারা।
এদিকে চাকরির পাশাপাশি জামান নিজেও ছোট ব্যবসা করতেন। এক পর্যায়ে দুই দফায় ৫২ লাখ টাকা লোন নেন তিনি। ভালো সম্পর্ক ও বিশ্বস্ততা গড়ে ওঠায় তার চেক বই ও হিসাব নম্বর ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করতেন জয় । মাঝে-মধ্যে তার কাছ থেকে বড় অংকের ধারও নিতেন আব্দুর রহমান ও জয়। এমনকি জামানের চেক বই রাখা ড্রয়ারের ডুপ্লিকেট চাবিও ছিল তাদের কাছে।
এ সময় অফিসে আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়লে আব্দুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং জামানকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা শুরু করেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কিছুদিন কাজ করতে পারেননি জামান, সেই সুযোগে সফটওয়্যার কারসাজি করে ২০ লাখ টাকার ঘাটতি দেখানো হয়।
সুস্থ হয়ে জামান অফিসে ফেরার পর এলডি হাউসকে বিভিন্ন সময়ে ধার দেয়া ৩০ লক্ষাধিক টাকা ফেরত চান জামান। তখন তাকে উল্টো চাপ দেওয়া হয় ঘাটতির ওই ২০ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য। পরে নিরাপত্তার অভাব অনুভব করে ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বরের পর অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দেন তিনি।
দুই মাস পর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই শাহানুর হোসাইন সরকার সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাকে ঢাকায় আটক করে রংপুরে নিয়ে আসে। পথে ‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের স্বীকারোক্তি দিতে চাপ দেওয়া হয়। পরে আদালতে বাধ্য হয়ে দোষ স্বীকার করলে তাকে জেলে পাঠানো হয়।
১৪ দিন কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে জামান জানতে পারেন, তিনি ও তার দুই স্বজনের নামে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতসহ চেক প্রতারণার চারটি মামলা ও একটি জিডি করা হয়েছে।
জামান দাবি করেন, হারানো পুরোনো চেকে জাল স্বাক্ষর বসিয়ে মিথ্যা লেনদেন দেখিয়ে এসব মামলা করা হয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে জয়ের শ্বশুরের নামে ৬২ লাখ টাকার ভুয়া পাওনার মামলা হয়েছে, যার সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগই নেই।
মামলার পরবর্তী শুনানির দিন গত ১৪ মে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চার মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান জামান।
তিনি জানান, দৈনিক ৮-১০ লাখ টাকা বিক্রি হতো এবং সব টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে দেওয়া হতো। অথচ আমার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার ১৪০টি মোবাইল, ৯০ লাখ টাকা নগদ ও ১৫ লাখ টাকা কর্মচারীদের বেতন আত্মসাতের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
জামান বলেন, আব্দুর রহমান ও জাকারিয়া রায়হান জয় নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। আর মালিক শফিকুল ইসলাম এর আগেও একই সিস্টেমে আরো অনেককে সর্বস্বান্ত করেছেন। এখন আদালতের বারান্দায় ঘুরে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জামান।
অপরদিকে ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন, জামানই মূল দায়িত্বে ছিলেন এবং তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় আত্মসাতের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বাকি অভিযোগ নিয়ে তিনি বিস্তারিত মন্তব্য করেননি।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।

রংপুরে নথ ভিউ হোটেলের মালিক ও ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্মচারী রাকিবুজ্জামান রাব্বি ওরফে জামানকে সাজানো মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। শফিকুল ইসলাম রংপুরে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৭ সালে রংপুরের এলডি হাউস নামে মোবাইল ডিলার প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন ঝিনাইদহের জামান। প্রতিষ্ঠানটি রিয়ালমি, ইনফিনিক্স ও ওয়ানপ্লাস ফোনের ডিলার।
২০২২ সালে সফটওয়্যার ম্যানেজার পদে পদোন্নতি হয় জামানের। সেই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই পদে কাজ করেন তিনি। জামানের কাজ ছিল শুধু কোম্পানি থেকে আসা মোবাইল ফোনের আইএমইআই সফটওয়্যারে সংরক্ষণ করা এবং দিন শেষে তিনি সেই রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে পাঠিয়ে দেওয়া।
প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন ও যাবতীয় টাকার হিসাব সংরক্ষণের কাজ ছিল সহকারী ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার জাকারিয়া রায়হান জয় এবং প্রধান ম্যানেজার আব্দুর রহমানের। প্রতি মাসে অডিট করা এবং যাবতীয় আয়-ব্যয়ের বিবরণী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও মালিকের চাচাতো ভাই রাসিফের কাছে বুঝিয়ে দিতেন তারা।
এদিকে চাকরির পাশাপাশি জামান নিজেও ছোট ব্যবসা করতেন। এক পর্যায়ে দুই দফায় ৫২ লাখ টাকা লোন নেন তিনি। ভালো সম্পর্ক ও বিশ্বস্ততা গড়ে ওঠায় তার চেক বই ও হিসাব নম্বর ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করতেন জয় । মাঝে-মধ্যে তার কাছ থেকে বড় অংকের ধারও নিতেন আব্দুর রহমান ও জয়। এমনকি জামানের চেক বই রাখা ড্রয়ারের ডুপ্লিকেট চাবিও ছিল তাদের কাছে।
এ সময় অফিসে আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়লে আব্দুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং জামানকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা শুরু করেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কিছুদিন কাজ করতে পারেননি জামান, সেই সুযোগে সফটওয়্যার কারসাজি করে ২০ লাখ টাকার ঘাটতি দেখানো হয়।
সুস্থ হয়ে জামান অফিসে ফেরার পর এলডি হাউসকে বিভিন্ন সময়ে ধার দেয়া ৩০ লক্ষাধিক টাকা ফেরত চান জামান। তখন তাকে উল্টো চাপ দেওয়া হয় ঘাটতির ওই ২০ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য। পরে নিরাপত্তার অভাব অনুভব করে ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বরের পর অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দেন তিনি।
দুই মাস পর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই শাহানুর হোসাইন সরকার সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাকে ঢাকায় আটক করে রংপুরে নিয়ে আসে। পথে ‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের স্বীকারোক্তি দিতে চাপ দেওয়া হয়। পরে আদালতে বাধ্য হয়ে দোষ স্বীকার করলে তাকে জেলে পাঠানো হয়।
১৪ দিন কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে জামান জানতে পারেন, তিনি ও তার দুই স্বজনের নামে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতসহ চেক প্রতারণার চারটি মামলা ও একটি জিডি করা হয়েছে।
জামান দাবি করেন, হারানো পুরোনো চেকে জাল স্বাক্ষর বসিয়ে মিথ্যা লেনদেন দেখিয়ে এসব মামলা করা হয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে জয়ের শ্বশুরের নামে ৬২ লাখ টাকার ভুয়া পাওনার মামলা হয়েছে, যার সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগই নেই।
মামলার পরবর্তী শুনানির দিন গত ১৪ মে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চার মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান জামান।
তিনি জানান, দৈনিক ৮-১০ লাখ টাকা বিক্রি হতো এবং সব টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে দেওয়া হতো। অথচ আমার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার ১৪০টি মোবাইল, ৯০ লাখ টাকা নগদ ও ১৫ লাখ টাকা কর্মচারীদের বেতন আত্মসাতের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
জামান বলেন, আব্দুর রহমান ও জাকারিয়া রায়হান জয় নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। আর মালিক শফিকুল ইসলাম এর আগেও একই সিস্টেমে আরো অনেককে সর্বস্বান্ত করেছেন। এখন আদালতের বারান্দায় ঘুরে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জামান।
অপরদিকে ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন, জামানই মূল দায়িত্বে ছিলেন এবং তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় আত্মসাতের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বাকি অভিযোগ নিয়ে তিনি বিস্তারিত মন্তব্য করেননি।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচারের অগ্রগতি নেই। গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩২টি অভিযোগ জমা পড়ে।
২৬ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের মহদীপুরে অটোরিকশা ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে শরিফুল আলম (৪২) নামে এক অটোচালক নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মহদীপুরে এ দুর্ঘটনায় ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নিজের দোকানে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে রামুর পান্জেগানা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কের হ্নীলায় মোটরসাইকেল-মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস খাদে পড়ে মোটরসাইকেল চালক নিহত ও ২০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে