চা ফ্যাক্টরি থেকে ওয়্যারহাউজের দিকে যাওয়ার পথে ভূতে ধরে, হাওয়া হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পের অংশীজনদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাক্টরি থেকে গাড়ি যেটা বের হবে সেই গাড়ি জায়গা মতো যেতে হবে। ধরুন ২৫ টন বের হয়েছে ওয়্যারহাউজে গেছে ১৫ টন। বাকি ১০ টন ভূতে ধরেছে। এটা যাতে না হয়। এছাড়া কারখানা থেকে জিনিস বের হচ্ছে এটা যদি সততার সাথে রেকর্ড রাখি তাহলে ভূতে ধরার বিষয়টি আমরা ওভারকাম করতে পারবো। চোরাই পথে চা বিক্রি চা ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় সমস্যা। আমরা এই বিষয়টিকে সিরিয়াসলি দেখছি।
তিনি আরও বলেন, এবার সারের সমস্যা হবে না। তবে কৃষি পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলে সবচেয়ে ভালো হবে। এ বিষয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করছি। কোন কারখানা তার অনুমোদনের অতিরিক্ত উৎপাদন করলে তাকে অনুমতি নিতে হবে। তা না হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া রেজিস্টার চা চাষি ছাড়া অন্য কারো কাছে পাতা ক্রয় করা যাবে না৷
ওয়েজস্টেজ কারখানায় এনে রি প্রোডাকশন করা যাবে না। যারা করবে তাদেরও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পঞ্চগড়ের শিল্প যদি ঠিক থাকে আপনার ফ্যাক্টরি, আপনার বাগানসহ অনেক কিছু উপরের দিকে যাবে। আমরা যদি উৎপাদন খরচ কমাতে পারি তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে চা রপ্তানি করতে পারবো।
এ সময় অন্যদের মধ্যে চা বোর্ডের সদস্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মোয়াজ্জম হোসাইন, জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান, পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস ও চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খানসহ চা চাষী, কারখানা মালিক, ওয়্যারহাউজ মালিক, ব্রোকারস ও চা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

