
সিদ্দিকুল ইসলাম, চিলমারী (কুড়িগ্রাম)

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার ক্রমাগত ভাঙনে কুড়িগ্রামের চিলমারীর ১০ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এ নদের ভাঙন রোধে দীর্ঘদিনেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ। ভাঙনে নিঃস্ব মানুষকে পুনর্বাসনেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ।
ফলে বছরের পর বছর বেড়েই চলেছে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন। ভাঙনে হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে এখন সর্বস্বান্ত। জানা গেছে, উজানে অপরিকল্পিত বাঁধ, নেই পরিকল্পনা মোতাবেক ড্রেজিং, নদের সঙ্গে যুক্ত খাল-বিল-জলাধারগুলো ভরাট, পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ করার কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিপ্রবাহ আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এতে অতিরিক্ত পলি জমে অন্যান্য নদীর মতো ব্রহ্মপুত্রের কমছে গভীরতা, ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এ ভাঙন। আর ভাঙনে প্রতি বছর শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে নিঃস্ব হচ্ছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৬টি নদ-নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে চিলমারী গ্রাস করছে তিস্তাও। বর্ষা ছাড়াও প্রায় সারা বছরই ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তবে বর্ষা শুরু হলে ব্রহ্মপুত্র রাক্ষসী রূপ নেয়, সঙ্গে তিস্তাও হানা দেয়। ভাঙনে প্রতিবছর গ্রাস করছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও গ্রামের পর গ্রাম। সূত্রমতে গত এক যুগে চিলমারী উপজেলায় নদীভাঙনে প্রায় ১০ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। চলতি বছরেই ভাঙনে প্রায় এক হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। দিনে দিনে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েই চলছে। ভাঙন রোধে ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে কাজ শুরু হলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাব ও অনিয়মের কারণে প্রতি বছর দেখা দিচ্ছে ধস । এছাড়াও বাকি অংশে নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হিসেবে গত ২৫-৩০ বছরের মধ্যে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার প্রস্থের ব্রহ্মপুত্র হয়েছে প্রায় ৯ কিলোমিটার, তিস্তা বেড়েছে প্রায় এক কিলোমিটার। ফলে স্বাভাবিক বর্ষায়ও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিচ্ছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখা হাতি, কড়াইবড়িশাল গ্রামে প্রায় দুই কিলোমিটার, নয়ারহাটের বজড়াদিয়ারখাতা এলাকায় প্রায় এক কিমি.সহ বিভিন্ন চরে প্রায় তিন কিমি. এলাকাজুড়ে ভাঙন ও অষ্টমীর চর ইউনিয়নে প্রায় দুই কিমি. এলাকাজুড়ে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন এবং রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকায় প্রায় এক কিমি. তিস্তার ভাঙন থেমে নেই। এদিকে ব্রহ্মপুত্রের থাবায় উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকার পাউবো বাঁধ ও ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে স্থানীয় পাউবো। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, চর নিয়ে আমাদের কোনো পরিকল্পনা বা কার্যক্রম নেই। আর গত একযুগ আগে ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী অংশে কতটুকু গভীরতা ছিল সেটি জানা নেই, আর গভীরতা নিয়ে আমাদের স্টাডি নেই, ডান তীর রক্ষা প্রকল্প ভাঙন ঠেকাতে আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, প্রতিবছরের মতো ভাঙনকবলিত গৃহহীন মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী, ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ স্থায়ী বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোধ করার দাবি জানান।

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার ক্রমাগত ভাঙনে কুড়িগ্রামের চিলমারীর ১০ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এ নদের ভাঙন রোধে দীর্ঘদিনেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ। ভাঙনে নিঃস্ব মানুষকে পুনর্বাসনেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ।
ফলে বছরের পর বছর বেড়েই চলেছে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন। ভাঙনে হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে এখন সর্বস্বান্ত। জানা গেছে, উজানে অপরিকল্পিত বাঁধ, নেই পরিকল্পনা মোতাবেক ড্রেজিং, নদের সঙ্গে যুক্ত খাল-বিল-জলাধারগুলো ভরাট, পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ করার কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানিপ্রবাহ আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এতে অতিরিক্ত পলি জমে অন্যান্য নদীর মতো ব্রহ্মপুত্রের কমছে গভীরতা, ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এ ভাঙন। আর ভাঙনে প্রতি বছর শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে নিঃস্ব হচ্ছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১৬টি নদ-নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে চিলমারী গ্রাস করছে তিস্তাও। বর্ষা ছাড়াও প্রায় সারা বছরই ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তবে বর্ষা শুরু হলে ব্রহ্মপুত্র রাক্ষসী রূপ নেয়, সঙ্গে তিস্তাও হানা দেয়। ভাঙনে প্রতিবছর গ্রাস করছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও গ্রামের পর গ্রাম। সূত্রমতে গত এক যুগে চিলমারী উপজেলায় নদীভাঙনে প্রায় ১০ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। চলতি বছরেই ভাঙনে প্রায় এক হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। দিনে দিনে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েই চলছে। ভাঙন রোধে ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে কাজ শুরু হলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাব ও অনিয়মের কারণে প্রতি বছর দেখা দিচ্ছে ধস । এছাড়াও বাকি অংশে নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হিসেবে গত ২৫-৩০ বছরের মধ্যে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার প্রস্থের ব্রহ্মপুত্র হয়েছে প্রায় ৯ কিলোমিটার, তিস্তা বেড়েছে প্রায় এক কিলোমিটার। ফলে স্বাভাবিক বর্ষায়ও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিচ্ছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখা হাতি, কড়াইবড়িশাল গ্রামে প্রায় দুই কিলোমিটার, নয়ারহাটের বজড়াদিয়ারখাতা এলাকায় প্রায় এক কিমি.সহ বিভিন্ন চরে প্রায় তিন কিমি. এলাকাজুড়ে ভাঙন ও অষ্টমীর চর ইউনিয়নে প্রায় দুই কিমি. এলাকাজুড়ে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন এবং রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকায় প্রায় এক কিমি. তিস্তার ভাঙন থেমে নেই। এদিকে ব্রহ্মপুত্রের থাবায় উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকার পাউবো বাঁধ ও ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে স্থানীয় পাউবো। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, চর নিয়ে আমাদের কোনো পরিকল্পনা বা কার্যক্রম নেই। আর গত একযুগ আগে ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী অংশে কতটুকু গভীরতা ছিল সেটি জানা নেই, আর গভীরতা নিয়ে আমাদের স্টাডি নেই, ডান তীর রক্ষা প্রকল্প ভাঙন ঠেকাতে আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, প্রতিবছরের মতো ভাঙনকবলিত গৃহহীন মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী, ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ স্থায়ী বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোধ করার দাবি জানান।

ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি সফল করতে ফেইসবুকে গুজব ছড়ানো ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার সময় বালিজুরি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জিয়া উদ্দিনকে আটক করে তাহিরপুর থানা পুলিশ। সোমবার রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় আলম এশিয়া পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় বাসের সিটে ঘুমিয়ে থাকা চালক জুলহাস মিয়া (৩৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। জুলহাস মিয়ার বাড়ি ৭ নং ইউনিয়নের কৈয়ারচালায়। বাবার নাম সাজু মিয়া।
৩৬ মিনিট আগে
ভবদহের ৩৪ বছরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ছয় নদীতে চলছে উচ্ছেদ অভিযান। কেশবপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া হরিহর ও আপারভদ্রা নদীসহ ভবদহ অঞ্চলের ছয়টি নদীর দূষণমুক্তসহ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ও এক ছাত্র দল কর্মীর মৃত্যুর পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত রোববার বিকালে উপজেলার পাটবাজার এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় দৌড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যাওয়া তানজিল আহমেদ উত্তর জেলা ছাত্রদলের র
২ ঘণ্টা আগে