যুগের পর যুগ কেটে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া আর সুবিধা থেকে বঞ্চিত চিলমারীসহ কয়েকটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন হলেও ১৯৬৫ সালের দিকে রেলপথ স্থাপন হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পিছিয়ে রয়েছে চিলমারীর রমনা বাজার, বালাবাড়িহাট রেল স্টেশন ও রেলপথ। চিলমারী রমনা থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত লাইনের বেশির ভাগ স্থানে পাথরের অস্তিত্ব নেই, ট্রেন আসলেও থাকছে ধীরগতি। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই চলাচল করছে লোকাল ট্রেনটি।
বছরের পর বছর ভোগান্তিতে চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মানুষ। চিলমারী উপজেলায় দুটি রেল স্টেশন বালাবাড়িহাট ও রমনা বাজার স্টেশন। স্টেশনের সঙ্গে রেলপথেও লাগেনি উন্নয়নের হাওয়া। কুড়িগ্রাম সদর থেকে চিলমারীর রমনা বাজার স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার রেলপথের বেহাল দশার কারণে ঝুঁকি নিয়ে যুগের পর যুগ ধরে ট্রেন চলাচল করছে।
ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা নিয়েই যাত্রীরা এই রেলপথ দিয়ে যাতায়াত করে। এই রুটে রেলের চাহিদা থাকলেও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি পড়ছে না। ফলে যুগের পর যুগ যুগ কেটে গেলেও উন্নয়ন হয়নি । উপজেলার বালাবাড়িহাট এলাকার বালাবাড়িহাট রেল স্টেশনে একটি ছোট্ট ভবন থাকলেও নেই সংস্কার । এদিকে উপজেলার রমনা বাজার স্টেশনটি ঐতিহ্যবাহী স্টেশন হলেও এখানে এখনো গড়ে উঠেনি মানসম্মত ভবন।
রমনা এলাকার আব্দুল হক বলেন, রমনা বাজার আর বালাবাড়িহাট রেল স্টেশনে শুধু চিলমারীর মানুষ নয়, রৌমারী, রাজিবপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন অপেক্ষা করে ট্রেনের জন্য। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এখনো তৈরি হয়নি ছাউনি। শুধু তাই নয়, কুড়িগ্রাম সদর থেকে চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত রেলপথের বেহাল দশার কারণে সময়মতো ট্রেন যাতায়াত না করায় ভোগান্তি আর বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কুড়িগ্রাম থেকে চিলমারী রমনা বাজার পর্যন্ত লাইনের সমস্যা স্বীকার করে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা বলেন, দ্রুত চিলমারী পর্যন্ত মেরামতের কাজ শুরু হবে এবং স্টেশনগুলোর উন্নয়নের কাজ হবে।

