ছাতিম ফুলের ঘ্রাণে মুগ্ধ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ

আবুল কালাম আজাদ কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ০৫

শরৎ শেষে ছাতিম ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য জানিয়ে দেয় হেমন্তের আগমনী বার্তা। আর ফুটন্ত ছাতিম ফুলের মোহনীয় ঘ্রাণে চেনা যায় হেমন্তের উপস্থিতি। সেই ঘ্রাণে এখন মাতোয়ারা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের ঈদগাহ মাঠ। নবীন হেমন্তে ছাতিম গাছগুলো মাথায় পরেছে সাদা তাজ। মনে হচ্ছে ঈদগাহ মাঠে যেন ছাতিম ফুলের সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই নাকে লাগে এক মিষ্টি সুগন্ধ। ঈদগাহ মাঠের চারপাশে পত্রপল্লবে আচ্ছাদিত কয়েকটি ছাতিম গাছ দাঁড়িয়ে আছে ছাতার মতো। হেমন্তের নাতিশীতোষ্ণ বাতাসে ভেসে আসা ফুলের ঘ্রাণে মুখরিত চারপাশ, প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে পরিবেশ। প্রতিটি ডালের মাথায় থোকায় থোকায় ফুটেছে সাদা-হালকা সবুজ রঙের মনোমুগ্ধকর ফুল। ডাল ও পাতা ছাপিয়ে ফুলগুলো যেন হালকা সবুজ ও সাদার মিশাল করা রঙ মেখেছে।

বিজ্ঞাপন

ছাতিম ফুলের অনিন্দ্য সৌন্দর্য ও ঘ্রাণে মুগ্ধ পথচারীরাও থমকে দাঁড়াচ্ছেন। ফুলের রসে আকৃষ্ট হয়ে মধুপিপাসু মৌমাছি, প্রজাপতি আর নানা প্রজাতির কীটপতঙ্গ গাছের ডালে ভিড় জমিয়েছে। তাদের উড়াউড়ি, পাখার ঝাপটানি আর গুনগুন শব্দে চারদিক মুখরিত হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আতিক মিয়া, এরশাদ হোসাইন ও মফুজার রহমান জানান, কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি ভুলে যেতে ঈদগাহ মাঠের ছাতিম ফুলের ঘ্রাণই যথেষ্ট। এ ফুলের সৌন্দর্য ও সুবাস আমাদের মনকে প্রশান্ত করে তোলে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান, ছাতিম ফুলের গঠনশৈলী ও ঘ্রাণ অন্য ফুলের তুলনায় একেবারেই আলাদা ও মোহনীয়। এছাড়া ছাতিম বা ছাইতোন গাছের ছাল ও বাকল ভেষজ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বলেও জানান তিনি।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত