বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি
উপজেলা প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মাধ্যমে সারা দেশের উন্নয়ন হলেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। ২০-২৫ বছর ধরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চাকরি করলেও খনি কর্তৃপক্ষের টালবাহানায় আজও ২৭৬ কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী হয়নি।
চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় কর্মচারীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, ইনক্রিমেন্ট, প্রফিট বোনাস ও ডাস্ট অ্যালাউন্সসহ অন্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অস্থায়ী কর্মচারীদের সূত্রে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডে (বিসিএমসিএল) আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২৭৬ জন কর্মচারী কাজ করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে তারা কাজে যোগ দেন। ২০০৯ সালে বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সরকারি নীতিমালা শিথিল করে এসব কর্মচারীকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১০ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শুধু কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সময় নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয় কর্মচারীদের। কর্মচারীদের বঞ্চনার বিষয়টি ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে ওঠে। সেখানে কর্মচারীদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে একটি চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনাও বাস্তবায়ন করা হয়নি।
২০১৮ সালে বঞ্চিত ৮৭ জন কর্মচারীর পক্ষে সোহেল রানা নামের এক কর্মচারী হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কর্মচারী পদে স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া ৩ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এটিও বাস্তবায়ন করা হয়নি। এরপর ২০১৯ সালে বিসিএমসিএল হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে, আপিল বিভাগ ২০২৩ সালে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখে।
পরবর্তীতে বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর রিভিউ পিটিশন করলে আপিল বিভাগ ২০২৪ সালে পূর্বের আদেশ বহাল রেখে রিভিউ খারিজ করে দেয়। এরপরও কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগ দেয়নি খনি কর্তৃপক্ষ। ফলে স্থায়ী নিয়োগ না পাওয়া কর্মচারীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, ইনক্রিমেন্ট, প্রফিট বোনাস ও ডাস্ট অ্যালাউন্সসহ অন্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কর্মচারীদের অভিযোগ, খনি কর্তৃপক্ষ আইনি মতামত নেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেখিয়ে সময়ক্ষেপণের নতুন ফন্দি এঁটেছে। আইনি মতামত নেওয়ার জন্য বিসিএমসিএল থেকে গত বছর পেট্রোবাংলা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের মতামত চেয়ে নথি পাঠানো হয়। জবাবে এ বছর ২৯ জুন আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে মতামত দেওয়া হয়। এ মতামতের পর কর্মচারীরা আশার আলো দেখলেও খনি কর্তৃপক্ষ নিয়োগ ঠেকাতে নানা টালবাহানা করেই যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কর্মচারী সোহেল রানা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আমরা চরম বৈষম্যের শিকার। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেও এখনও নিয়োগ দিতে গড়িমসি করছে কর্তৃপক্ষ। আমরা খনি কর্তৃপক্ষকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে স্থায়ী নিয়োগ দিতে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। যদি এর মধ্যে আমাদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া না হয়, তবে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। তখন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সম্পূর্ণ দায় তাদেরই নিতে হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ জানান, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি চলমান। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দিলেও আইনি জটিলতায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কারণ, রিট করা ৮৭ কর্মচারীর মধ্যে ২০০৯ সালে ২৩ জন আবেদনই করেনি।
যারা আবেদন করেছে তাদের অনেকের পদ বিলুপ্ত হয়েছে। কর্মচারীরা আমাদের নামে আদালত অবমাননার মামলা করে। সেই মামলা এখনও চলমান। এ ছাড়াও আমরা আইনি মতামত চেয়ে পেট্রোবাংলা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। এখনও অফিসিয়ালি কোনো মতামত পাইনি। তারপরও আমরা ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন যাচাই বাছাই করছি।
এ ব্যাপারে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকারকে কল করা হলেও তা রিসিভ হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেওয়া হলেও তার কোনো জবাব আসেনি।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মাধ্যমে সারা দেশের উন্নয়ন হলেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। ২০-২৫ বছর ধরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চাকরি করলেও খনি কর্তৃপক্ষের টালবাহানায় আজও ২৭৬ কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী হয়নি।
চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় কর্মচারীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, ইনক্রিমেন্ট, প্রফিট বোনাস ও ডাস্ট অ্যালাউন্সসহ অন্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অস্থায়ী কর্মচারীদের সূত্রে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডে (বিসিএমসিএল) আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২৭৬ জন কর্মচারী কাজ করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে তারা কাজে যোগ দেন। ২০০৯ সালে বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সরকারি নীতিমালা শিথিল করে এসব কর্মচারীকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১০ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শুধু কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সময় নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয় কর্মচারীদের। কর্মচারীদের বঞ্চনার বিষয়টি ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে ওঠে। সেখানে কর্মচারীদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে একটি চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনাও বাস্তবায়ন করা হয়নি।
২০১৮ সালে বঞ্চিত ৮৭ জন কর্মচারীর পক্ষে সোহেল রানা নামের এক কর্মচারী হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কর্মচারী পদে স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া ৩ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এটিও বাস্তবায়ন করা হয়নি। এরপর ২০১৯ সালে বিসিএমসিএল হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে, আপিল বিভাগ ২০২৩ সালে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখে।
পরবর্তীতে বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর রিভিউ পিটিশন করলে আপিল বিভাগ ২০২৪ সালে পূর্বের আদেশ বহাল রেখে রিভিউ খারিজ করে দেয়। এরপরও কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগ দেয়নি খনি কর্তৃপক্ষ। ফলে স্থায়ী নিয়োগ না পাওয়া কর্মচারীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, ইনক্রিমেন্ট, প্রফিট বোনাস ও ডাস্ট অ্যালাউন্সসহ অন্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কর্মচারীদের অভিযোগ, খনি কর্তৃপক্ষ আইনি মতামত নেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেখিয়ে সময়ক্ষেপণের নতুন ফন্দি এঁটেছে। আইনি মতামত নেওয়ার জন্য বিসিএমসিএল থেকে গত বছর পেট্রোবাংলা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের মতামত চেয়ে নথি পাঠানো হয়। জবাবে এ বছর ২৯ জুন আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে মতামত দেওয়া হয়। এ মতামতের পর কর্মচারীরা আশার আলো দেখলেও খনি কর্তৃপক্ষ নিয়োগ ঠেকাতে নানা টালবাহানা করেই যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কর্মচারী সোহেল রানা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আমরা চরম বৈষম্যের শিকার। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেও এখনও নিয়োগ দিতে গড়িমসি করছে কর্তৃপক্ষ। আমরা খনি কর্তৃপক্ষকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে স্থায়ী নিয়োগ দিতে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। যদি এর মধ্যে আমাদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া না হয়, তবে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। তখন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সম্পূর্ণ দায় তাদেরই নিতে হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ জানান, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি চলমান। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দিলেও আইনি জটিলতায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কারণ, রিট করা ৮৭ কর্মচারীর মধ্যে ২০০৯ সালে ২৩ জন আবেদনই করেনি।
যারা আবেদন করেছে তাদের অনেকের পদ বিলুপ্ত হয়েছে। কর্মচারীরা আমাদের নামে আদালত অবমাননার মামলা করে। সেই মামলা এখনও চলমান। এ ছাড়াও আমরা আইনি মতামত চেয়ে পেট্রোবাংলা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। এখনও অফিসিয়ালি কোনো মতামত পাইনি। তারপরও আমরা ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন যাচাই বাছাই করছি।
এ ব্যাপারে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকারকে কল করা হলেও তা রিসিভ হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেওয়া হলেও তার কোনো জবাব আসেনি।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
২৬ মিনিট আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
২ ঘণ্টা আগে