লোকে লোকারণ্য হবিগঞ্জের পর্যটককেন্দ্র

কামরুল হাসান, হবিগঞ্জ
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ৩৫

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হবিগঞ্জের পর্যটক কেন্দ্রগুলোতে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠেছে। সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও চা বাগানগুলোতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের কোলাহলে মুখরিত ছিল হবিগঞ্জের অন্যতম এই পর্যটন স্পট।

বিজ্ঞাপন

ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে পর্যটনকেন্দ্রে মানুষজনের আনাগোনা শুরু হলেও বিকেলের দিকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পর্যটকের ঢল নেমেছে। তারা উদ্যানের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করে মুগ্ধ। ঈদের ছুটি থাকায় পর্যটকের ঢল আরো কয়েকদিন থাকবে বলে মনে করছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।

সিলেট এবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ লি. এর ম্যানেজার মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমি সিলেটে থাকলেও বাড়ি শায়েস্তাগঞ্জে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম। পরিবার পরিজন নিয়ে সাতছড়িতে ঘুরতে এসেছি। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য আমাদের পরিবার মুগ্ধ হয়েছে।

সাতছড়ি উদ্যানের কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সন্ধ্যা রাণী জানান, ঈদে পর্যটক বরণে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল সাতছড়ি উদ্যান। এ লক্ষ্যে কাজ করা হয়েছে। রয়েছে নিরাপত্তা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকরা এসে ঘোরাঘুরি করে মুগ্ধ হচ্ছেন।

সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মামুনুর রশিদ জানান, সাতছড়িতে প্রচুর বন্যপ্রাণী রয়েছে। মনোরম প্রাকৃতি পরিবেশে ঘুরে পর্যটকরা আনন্দিত। ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তা মনিটরিং করা হচ্ছে। পরিষ্কার করা হয়েছে বসার আসনগুলো। পর্যটকরা উদ্যানের এমন পরিবেশে মুগ্ধ হচ্ছেন।

তিনি জানান, ঈদের দিন প্রবেশ ফি বাবদ ১ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা ও পরদিন ৮৯ হাজার ৯৩০ টাকা রাজস্ব এসেছে। এভাবে আরো কয়েক দিন চলবে বলে মনে করছেন তিনি।

সাতছড়িতে প্রতিদিন ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত পর্যটক আসেন। উদ্যানে প্রবেশে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকিট ১১৫ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৬০ টাকা। বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১ হাজার ১৫০ টাকা। শুটিংয়ের জন্য ১৩ হাজার ৮০০ টাকা। পিকনিক পার্টির জন্য জনপ্রতি ২৩ টাকা। পার্কিংয়ের জন্য ছোট গাড়ির ফি ১১৫ টাকা ও বড় গাড়ি ফি ২৩০ টাকা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল জানান, বর্তমানে পর্যটকদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এ উদ্যানে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের অবস্থান লেগে থাকে। কারণ এখানে সহজে আসা যায়। উদ্যানের গভীর অরণ্যে দেখা যাচ্ছে নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী। আশপাশে রয়েছে চা বাগান। পাশে তেলিয়াপাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ। উদ্যানে রয়েছে থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা। রয়েছে নিরাপত্তা।

দেশের নানা প্রাপ্ত থেকে শত শত পর্যটক এ উদ্যানে এসে মুগ্ধ হচ্ছেন। পর্যটকের নিরাপত্তায় পুলিশের টহল রয়েছে।

রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে বনরক্ষীরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। সাতছড়ি উদ্যান ছাড়াও জেলার বিভিন্ন চা ও রাবার বাগান এবং দর্শনীয় স্থানে পর্যটকরা পরিদর্শন করে মুগ্ধ হচ্ছে।

এদিকে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কাছে ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত বিনোদন কেন্দ্র রূপনগর ঈদের দিন উদ্বোধন করা হয়েছে। ঈদের গত দুইদিনে বিনোদন প্রিয় মানুষের সমাগমে খুশি রূপনগর এর পরিচালক সাইফুল ইসলাম। তিনি আশাবাদী তার রূপনগরে পর্যটকদের সমাগম ঘটবে সবসময়।

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত