তিন মিনিটে উধাও ট্রেনের টিকিট, বিপাকে যাত্রীরা

এম ইদ্রিস আলী, মৌলভীবাজার
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৪৭

অনলাইনে ১০ দিন আগে কাটতে এসে তিন মিনিটেই উধাও হয়ে গেছে ট্রেনের টিকিট। এসব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন সিলেট অঞ্চলের যাত্রীরা। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া জংশনের স্টেশন মাস্টার রোমান আহমদ এই ঘটনায় হতবাক। প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এটা কি করে সম্ভব?

বিজ্ঞাপন

প্রবাসী আতিকুর রহমান জানান, ১০ তারিখে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু ১ অক্টোবর সকালে অ্যাপে ঢুকেই দেখেন সব টিকিট শূন্য। এখন কীভাবে ঢাকা পৌঁছাবেন সেই দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।

সাউথ ইস্ট ব্যাংকের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার সুয়েবুর রহমান জরুরিভাবে ঢাকা যাওয়ার প্রয়োজনে ব্ল্যাকারদের দ্বারস্থ হয়েও সমাধান পাননি। ব্যবসায়ী হারুন আহমদ জানালেন, চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে ঢাকা। কালনী এক্সপ্রেসের সাড়ে ৩৫০ টাকার টিকিট কিনতে হয়েছে এক হাজার টাকায়।

কিন্তু ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতির কারণে ব্ল্যাকারদের কাছ থেকে পাওয়া টিকিট নিয়েও রয়েছে জরিমানার ঝুঁকি। একদিকে অনলাইনে টিকিট মিলছে না অন্যদিকে ব্ল্যাক মার্কেটের টিকিট নিয়ে কমলাপুরে হয়রানির শিকার হতে হয়, ফলে ক্ষোভ এখন তুঙ্গে।

কুলাউড়া স্টেশনের মাস্টার রোমান আহমদ জানান, তিনি ও আরও তিনজন সকাল ৮টার ১০ মিনিট আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন অনলাইন টিকিট কাটার জন্য। ৮টা ১ মিনিটে লগইন করতেই দেখেন সার্ভার ব্যস্ত। দুই মিনিট পর একজন অ্যাপে ঢুকতে সক্ষম হন। কিন্তু সাথে সাথেই দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট কিংবা সিলেট-ঢাকা রুটে কোনো ট্রেনেই একটি টিকিট নেই। কারা এর সঙ্গে জড়িত? এই প্রশ্ন এখন সবার।

দৈনিক ইত্তেফাকের কমলগঞ্জ প্রতিনিধির নুরুল মোহাইমিন মিল্টন ফেসবুকে লিখেছেন, শমসেরনগর স্টেশনে ১০ দিন আগে অনলাইনে টিকিট সকাল ৮টায় মুহূর্তেই শেষ করে ফেলে কালোবাজারি চক্র। পরে সেগুলো বিক্রি হয় দ্বিগুণ-তিনগুণ মূল্যে।

শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনেও একই চিত্র। স্থানীয়রা দাবি করছেন, পর্যটন বগি সংযোজন, আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, অনলাইন টিকিটিংয়ে স্বচ্ছতা ও কালোবাজারি রোধের মধ্য দিয়েই পরিস্থিতির সমাধান সম্ভব।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকাগামী আসনের বরাদ্দ খুবই সীমিত। কালনী এক্সপ্রেসে ৮১টি, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে ৭০টি, পারাবত এক্সপ্রেসে ১০৫টি, উপবনে ৬৫টি, পাহাড়িকায় ৪৭টি এবং উদয়নে মাত্র ৩০টি। চাহিদা প্রবল, কিন্তু বগি কম। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে আসছি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত