রোহান রাজিব
দেশের ব্যাংক খাতে অস্বাভাবিক হারে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। আগে খেলাপি ঋণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে বৃদ্ধি পেলেও এখন বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতে সেই ছোঁয়া লেগেছে। গত এক বছরে এ খাতের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেসরকারি খাতের সাত-আটটি ব্যাংক এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এসব ব্যাংক থেকে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে বের করে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছিল, তা একে একে খেলাপি হয়ে পড়েছে। ফলে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের নীতিমালায় পরিবর্তন আনার একটা প্রভাব রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ছিল ৭০ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের মোট ঋণের ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয় দুই লাখ ১৫ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৩৩ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৮১ গুণ। গত বছরের শেষ তিন মাসে এ খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫০ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আমার দেশকে বলেন, বেসরকারি খাতের খেলাপি ঋণ মূলত কয়েকটি ব্যাংকের কারণে বেড়েছে। এ খাতের কিছু ব্যাংকের যেসব অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণ দিয়েছিল তা এখন খেলাপি হয়ে পড়ছে। এসব ব্যাংকেই মোট দাগে খেলাপি বেড়েছে। অন্য ব্যাংকগুলোতে তেমন বাড়েনি।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গত বছর খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭০ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে এ খাতের ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা, মোট বিতরণকৃত ঋণের ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৬৫ হাজার ৭৮১ কোটি বা ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের মধ্যে জনতার একাই ৬৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
এই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ মধ্যে বেক্সিমকোর ২৩ হাজার কোটি, এস আলম গ্রুপের ১০ হাজার ২০০ কোটি, অ্যাননটেক্সের সাত হাজার ৮০০ কোটি, ক্রিসেন্টের তিন হাজার ৮০০ কোটি, থার্মেকস গ্রুপের দুই হাজার ২০০ কোটি এবং সিকদার গ্রুপের ৮৫০ কোটি টাকা।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের বিতরণকৃত ঋণের ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থাৎ গত এক বছরে এ খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে।
এদিকে বিশেষায়িত ব্যাংকেরও গত এক বছরে খেলাপি ঋনে বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল পাঁচ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে তা বেড়ে হয় ছয় হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এক বছরে এ খাতের ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৬৪ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বরে বেড়ে হয় তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। ফলে অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে মোট বিতরণ করা ঋণ ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম, খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি আপাতত ভালোর দিকে যাবে না। যতই নতুন তথ্য আসছে, ততই বাড়ছে। যেভাবে ধারণা দিয়েছিলাম, সেভাবে বাড়ছে। সামনে আরো বাড়বে।’
গভর্নর জানান, আগে খেলাপি ঋণ কিছুটা কম দেখানো হতো। একসময় ছিল ৯ শতাংশ, যা বেড়ে ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। খেলাপি ঋণ এখনো সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছায়নি। এ ছাড়া নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আসছে। আগে ১৮০ দিন পর খেলাপি হতো, এখন ৯০ দিনে খেলাপি হয়ে পড়ছে। এ কারণেও খেলাপি ঋণ কিছুটা বাড়বে।
দেশের ব্যাংক খাতে অস্বাভাবিক হারে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। আগে খেলাপি ঋণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে বৃদ্ধি পেলেও এখন বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতে সেই ছোঁয়া লেগেছে। গত এক বছরে এ খাতের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেসরকারি খাতের সাত-আটটি ব্যাংক এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এসব ব্যাংক থেকে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে বের করে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছিল, তা একে একে খেলাপি হয়ে পড়েছে। ফলে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের নীতিমালায় পরিবর্তন আনার একটা প্রভাব রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ছিল ৭০ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের মোট ঋণের ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয় দুই লাখ ১৫ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৩৩ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৮১ গুণ। গত বছরের শেষ তিন মাসে এ খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫০ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আমার দেশকে বলেন, বেসরকারি খাতের খেলাপি ঋণ মূলত কয়েকটি ব্যাংকের কারণে বেড়েছে। এ খাতের কিছু ব্যাংকের যেসব অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণ দিয়েছিল তা এখন খেলাপি হয়ে পড়ছে। এসব ব্যাংকেই মোট দাগে খেলাপি বেড়েছে। অন্য ব্যাংকগুলোতে তেমন বাড়েনি।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গত বছর খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭০ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে এ খাতের ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা, মোট বিতরণকৃত ঋণের ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৬৫ হাজার ৭৮১ কোটি বা ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের মধ্যে জনতার একাই ৬৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
এই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ মধ্যে বেক্সিমকোর ২৩ হাজার কোটি, এস আলম গ্রুপের ১০ হাজার ২০০ কোটি, অ্যাননটেক্সের সাত হাজার ৮০০ কোটি, ক্রিসেন্টের তিন হাজার ৮০০ কোটি, থার্মেকস গ্রুপের দুই হাজার ২০০ কোটি এবং সিকদার গ্রুপের ৮৫০ কোটি টাকা।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের বিতরণকৃত ঋণের ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থাৎ গত এক বছরে এ খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে।
এদিকে বিশেষায়িত ব্যাংকেরও গত এক বছরে খেলাপি ঋনে বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল পাঁচ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে তা বেড়ে হয় ছয় হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এক বছরে এ খাতের ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৬৪ কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বরে বেড়ে হয় তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। ফলে অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে মোট বিতরণ করা ঋণ ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম, খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি আপাতত ভালোর দিকে যাবে না। যতই নতুন তথ্য আসছে, ততই বাড়ছে। যেভাবে ধারণা দিয়েছিলাম, সেভাবে বাড়ছে। সামনে আরো বাড়বে।’
গভর্নর জানান, আগে খেলাপি ঋণ কিছুটা কম দেখানো হতো। একসময় ছিল ৯ শতাংশ, যা বেড়ে ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। খেলাপি ঋণ এখনো সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছায়নি। এ ছাড়া নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আসছে। আগে ১৮০ দিন পর খেলাপি হতো, এখন ৯০ দিনে খেলাপি হয়ে পড়ছে। এ কারণেও খেলাপি ঋণ কিছুটা বাড়বে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
১ দিন আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
২ দিন আগে