নীতিমালা প্রণয়ণের উদ্যোগ
কাওসার আলম
বাংলাদেশে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৫৫টি পণ্য। কিন্তু জিআই তালিকায় যুক্ত হলেও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তৈরি করতে পারেনি এসব পণ্য। জিআই পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবতা একেবারে ভিন্ন। এখন পর্যন্ত জিআই পণ্যের স্বীকৃতি শুধুমাত্র একটা কাগুজে ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জিআই পণ্যের নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। জিআই পণ্যের নিবন্ধনও দিয়ে থাকে ডিপিডিটি। নীতিমালায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জিআই পণ্যের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়টি। অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ প্রশাসন ও জিআই) ড. কায়সার মুহাম্মদ মঈনুল হাসানকে প্রধান করে সম্প্রতি ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কায়সার মুহাম্মদ মঈনুল হাসান আমার দেশকে বলেন, জিআই পণ্যের নীতিমালা তৈরিতে আমরা কাজ করছি। তবে এখনো এটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের স্টাডি চলছে। তারপর নীতিমালার একটা ভিত্তি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমরা ওয়ার্কশপ করব এবং একটা খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় পরে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালা চূড়ান্ত করবে।
ডিপিডিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে জামদানি শাড়ি বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন লাভ করে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ইলিশ মাছ, রংপুরের শতরঞ্জি, বাংলাদেশ কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জিসহ ৫৫টি পণ্য বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে জিআই নিবন্ধন পেয়েছে। নিবন্ধন পাওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে ৩১টি পণ্যের নিবন্ধন সার্টিফিকেট হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাকি ২৪ পণ্যের জিআই নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করবে ডিপিডিটি। বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সনদ বিতরণ করা হবে।
জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সুফলের বিষয়ে কর্মকর্তারা জানান, কোনো পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেলে বৈশ্বিকভাবে সে পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে ওই পণ্যের বাড়তি কদর তৈরি করা সম্ভব হয়। এর ফলে বাড়তি চাহিদা তৈরি হলে ওই পণ্যের উৎপাদনও বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়। জিআই সনদ থাকলে সেই পণ্যের বাণিজ্যিক উৎপাদনের অধিকার ও আইনি সুরক্ষাও ওই দেশের অধীনেই থাকে। অন্য কোনো দেশ তখন ওই পণ্যের মালিকানা বা স্বত্ব দাবি করার সুযোগ পায় না। ফলে উৎপাদকের বাণিজ্যিক বা আর্থিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।
তবে বাংলাদেশে যেসব পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে, সেগুলো এখনো অর্থনৈতিক গুরুত্ব তৈরি করতে পারেনি বলে ডিপিডিটি কর্মকর্তারা জানান। তারা বলেন, সাধারণত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী সংস্থা পণ্যের জিআই স্বীকৃতির আবেদন করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে হাতোগোনা দু-একটি পণ্য ছাড়া বাকি পণ্যের জিআই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে জেলা প্রশাসন। ফলে জেলা প্রশাসনের অনুকূলে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার তেমন কোনো সুযোগ নেই। এ প্রেক্ষাপটে জিআই নীতিমালা তৈরি হলে ভবিষ্যতে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন হতে পারে বলে তারা মতপ্রকাশ করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি জিআই পণ্যকে ঘিরে পর্যটনশিল্পের বিকাশও ঘটতে পারে। ভারতের দার্জিলিং চা এক্ষেত্রে একটা ভালো উদাহরণ। দার্জিলিং চা শুধু ভারতের অর্থনীতিতেই অবদান রাখছে তেমন নয়, এই চা-কে ঘিরে পর্যটনশিল্পেরও প্রসার ঘটেছে। বাংলাদেশে জিআই তালিকায় এমন কিছু পণ্য রয়েছে, সেসব পণ্যকে উপজীব্য করে অর্থনৈতিক গুরুত্ব তৈরির পাশাপাশি পর্যটনশিল্পেরও বিকাশ ঘটতে পারে। এ জন্য সম্ভাবনাময় পণ্য চিহ্নিতকরণ ও কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জিআই পণ্যও ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে জিআই পণ্যকে যে শুধু অর্থনৈতিক গুরুত্ব হিসেবে দেখতে হবে, বিষয়টি এমন নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, কিছু কিছু পণ্যের জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে জড়িত আছে আমাদের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্বাতন্ত্র্য ও সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ। এসব পণ্যের জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে আমাদের নিজস্ব গর্বের বিষয়টিও জুড়ে রয়েছে। তেমন একটি জিআই পণ্য মসলিন। ‘ঢাকাই মসলিন’ হিসেবে এটি জিআই তালিকাভুক্ত। মসলিনের সে গৌরবময় সময় অতীত হয়ে গেছে। কিন্তু মসলিন এখনো আমাদের আত্মপরিচয়ের একটি স্মারক হিসেবে পরিগণিত। ফলে অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও ঐতিহ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জিআই পণ্যের গুরুত্ব তৈরিতে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলে মনে করছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই স্বত্ব হলো কোনো ভৌগোলিক অঞ্চলের কোনো পণ্যকে তাদের নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। কোনো পণ্যের উৎপত্তিস্থল যদি ওই ভৌগোলিক অঞ্চল হয়, সে দেশের পরিবেশ, আবহাওয়া ও সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে, সে সঙ্গে ভৌগোলিকভাবে ও ঐতিহ্যগতভাবে ওইসব পণ্যকে ‘নিজস্ব’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়, তাহলে সেটিকে ওই দেশের ‘ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পণ্যের গুণমান, স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও খ্যাতির সঙ্গে এর উৎপত্তিস্থলের সরাসরি সম্পর্কের ভিত্তিতে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্য, হস্তশিল্প ও শিল্পজাত পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে জিআই প্রযোজ্য হয়।
বাংলাদেশে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৫৫টি পণ্য। কিন্তু জিআই তালিকায় যুক্ত হলেও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তৈরি করতে পারেনি এসব পণ্য। জিআই পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবতা একেবারে ভিন্ন। এখন পর্যন্ত জিআই পণ্যের স্বীকৃতি শুধুমাত্র একটা কাগুজে ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জিআই পণ্যের নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। জিআই পণ্যের নিবন্ধনও দিয়ে থাকে ডিপিডিটি। নীতিমালায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জিআই পণ্যের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়টি। অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ প্রশাসন ও জিআই) ড. কায়সার মুহাম্মদ মঈনুল হাসানকে প্রধান করে সম্প্রতি ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কায়সার মুহাম্মদ মঈনুল হাসান আমার দেশকে বলেন, জিআই পণ্যের নীতিমালা তৈরিতে আমরা কাজ করছি। তবে এখনো এটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের স্টাডি চলছে। তারপর নীতিমালার একটা ভিত্তি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমরা ওয়ার্কশপ করব এবং একটা খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় পরে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালা চূড়ান্ত করবে।
ডিপিডিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে জামদানি শাড়ি বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন লাভ করে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ইলিশ মাছ, রংপুরের শতরঞ্জি, বাংলাদেশ কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জিসহ ৫৫টি পণ্য বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে জিআই নিবন্ধন পেয়েছে। নিবন্ধন পাওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে ৩১টি পণ্যের নিবন্ধন সার্টিফিকেট হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাকি ২৪ পণ্যের জিআই নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করবে ডিপিডিটি। বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সনদ বিতরণ করা হবে।
জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সুফলের বিষয়ে কর্মকর্তারা জানান, কোনো পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেলে বৈশ্বিকভাবে সে পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে ওই পণ্যের বাড়তি কদর তৈরি করা সম্ভব হয়। এর ফলে বাড়তি চাহিদা তৈরি হলে ওই পণ্যের উৎপাদনও বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়। জিআই সনদ থাকলে সেই পণ্যের বাণিজ্যিক উৎপাদনের অধিকার ও আইনি সুরক্ষাও ওই দেশের অধীনেই থাকে। অন্য কোনো দেশ তখন ওই পণ্যের মালিকানা বা স্বত্ব দাবি করার সুযোগ পায় না। ফলে উৎপাদকের বাণিজ্যিক বা আর্থিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।
তবে বাংলাদেশে যেসব পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে, সেগুলো এখনো অর্থনৈতিক গুরুত্ব তৈরি করতে পারেনি বলে ডিপিডিটি কর্মকর্তারা জানান। তারা বলেন, সাধারণত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী সংস্থা পণ্যের জিআই স্বীকৃতির আবেদন করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে হাতোগোনা দু-একটি পণ্য ছাড়া বাকি পণ্যের জিআই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে জেলা প্রশাসন। ফলে জেলা প্রশাসনের অনুকূলে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার তেমন কোনো সুযোগ নেই। এ প্রেক্ষাপটে জিআই নীতিমালা তৈরি হলে ভবিষ্যতে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন হতে পারে বলে তারা মতপ্রকাশ করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি জিআই পণ্যকে ঘিরে পর্যটনশিল্পের বিকাশও ঘটতে পারে। ভারতের দার্জিলিং চা এক্ষেত্রে একটা ভালো উদাহরণ। দার্জিলিং চা শুধু ভারতের অর্থনীতিতেই অবদান রাখছে তেমন নয়, এই চা-কে ঘিরে পর্যটনশিল্পেরও প্রসার ঘটেছে। বাংলাদেশে জিআই তালিকায় এমন কিছু পণ্য রয়েছে, সেসব পণ্যকে উপজীব্য করে অর্থনৈতিক গুরুত্ব তৈরির পাশাপাশি পর্যটনশিল্পেরও বিকাশ ঘটতে পারে। এ জন্য সম্ভাবনাময় পণ্য চিহ্নিতকরণ ও কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জিআই পণ্যও ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে জিআই পণ্যকে যে শুধু অর্থনৈতিক গুরুত্ব হিসেবে দেখতে হবে, বিষয়টি এমন নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, কিছু কিছু পণ্যের জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে জড়িত আছে আমাদের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্বাতন্ত্র্য ও সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ। এসব পণ্যের জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে আমাদের নিজস্ব গর্বের বিষয়টিও জুড়ে রয়েছে। তেমন একটি জিআই পণ্য মসলিন। ‘ঢাকাই মসলিন’ হিসেবে এটি জিআই তালিকাভুক্ত। মসলিনের সে গৌরবময় সময় অতীত হয়ে গেছে। কিন্তু মসলিন এখনো আমাদের আত্মপরিচয়ের একটি স্মারক হিসেবে পরিগণিত। ফলে অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও ঐতিহ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জিআই পণ্যের গুরুত্ব তৈরিতে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলে মনে করছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই স্বত্ব হলো কোনো ভৌগোলিক অঞ্চলের কোনো পণ্যকে তাদের নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। কোনো পণ্যের উৎপত্তিস্থল যদি ওই ভৌগোলিক অঞ্চল হয়, সে দেশের পরিবেশ, আবহাওয়া ও সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে, সে সঙ্গে ভৌগোলিকভাবে ও ঐতিহ্যগতভাবে ওইসব পণ্যকে ‘নিজস্ব’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়, তাহলে সেটিকে ওই দেশের ‘ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পণ্যের গুণমান, স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও খ্যাতির সঙ্গে এর উৎপত্তিস্থলের সরাসরি সম্পর্কের ভিত্তিতে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্য, হস্তশিল্প ও শিল্পজাত পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে জিআই প্রযোজ্য হয়।
বাংলাদেশি কিছু পণ্য ভারতের বাজারে আর ঢুকতে পারবে না। শনিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (ডিজিএফটি) জানায়, বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি রেডিমেড পোশাক, খাবার ভারতে আমদানি করা যাবে না।
৭ ঘণ্টা আগেমোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংকগুলোকে পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্ট করার জন্য সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা ফি বা চার্জ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শনিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেঅনির্দিষ্ট কালের জন্য কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস (ট্যাকসেশন) এসোসিয়েশন। শনিবার এসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতের এ ঘোষণা দেয়া হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে