আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ভ্যাট সপ্তাহ। ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে নতুন করে এক লাখ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। নিবন্ধনকে গুরুত্ব প্রদান করে এ বছরের ভ্যাট দিবস (১০ ডিসেম্বর) থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী বিশেষ নিবন্ধন ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে, যার উদ্দেশ্য হবে ১ লাখ নতুন ভ্যাট নিবন্ধন প্রদান করা। বর্তমানে দেশে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৪ হাজার বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, বর্তমানে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতার বাইরে বহু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতার সংখ্যাটা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এবার ভ্যাট সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সময়মত নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’।
এনবিআর সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মোট আদায়ের ৩৮ শতাংশ ভ্যাট হতে আদায় করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাট আদায় ব্যবস্থাপনা জোরদার করার মাধ্যমে ভ্যাটের আদায় উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি করে দেশের আর্থিক বুনিয়াদ মজবুত করা সম্ভব।
ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে নানামুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অনিবন্ধিত ব্যবসা, পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের অভাব, রেয়াত-শৃঙ্খল কার্যকর না হওয়া, অতিরিক্ত অব্যাহতি, ম্যানুয়াল অডিট ব্যবস্থা, ই-কমার্স ও উদীয়মান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করতে না পারার মতো চ্যালেঞ্জ। বিদ্যমান এ চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় রাজস্ব ব্যবস্থাকে আধুনিক এবং ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্যে অনলাইন সিস্টেমে নিবন্ধন গ্রহণ, অনলাইন রিটার্ন দাখিল, অনলাইন পেমেন্ট, ই-রিফান্ড, ই-অডিট, ভ্যাট স্মার্ট চালান প্রবর্তন, ভ্যাট ফাঁকি মোকাবেলায় ‘রিস্ক-বেসড’ অডিট সিস্টেম চালুসহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আবদুর রহমান খান বলেন, করদাতাদের স্বেচ্ছায় কর প্রদান নিশ্চিত করা এবং কর ফাঁকি কমানোই এনবিআরের প্রধান লক্ষ্য। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে একটি শক্তিশালী ও দক্ষ ভ্যাট ব্যবস্থা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রচেষ্টার পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরের ভোক্তা, ব্যবসায়ী, শিল্প মালিকগণ ও প্রচার মাধ্যমের যুগোপযোগি সহায়তা প্রয়োজন।


স্কুল–বাজার–বাড়িঘরে সুদানের বিমান হামলায় নিহত শত শত মানুষ