
স্টাফ রিপোর্টার

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার স্ত্রী, পাঁচ ভাইসহ প্রতিষ্ঠানটির স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৬৭ জনের বিরুদ্ধে ১০ হাজার ৪৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও সিঙ্গাপুরে পাচারের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তানজির আহমেদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের ইতিহাসে এটিকে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে অভিহিত করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি, নীতিমালা ও পরিপত্র উপেক্ষা করে আসামিরা যোগসাজশ করে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এস আলম স্টিলস লিমিটেড ও এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের নামে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন। এর বিপরীতে রাখা হয় অপ্রতুল জামানত।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম ঘটে। ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণসীমা ২,৪০০ কোটি টাকা থেকে ৩,৮০০ কোটি টাকায় উন্নীত করে, যা ব্যাংকের মূলধনের ৩৫ শতাংশ অতিক্রম করে।
এটি ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগের একক গ্রাহক ঋণসীমা নীতিমালার লঙ্ঘন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সিআইবি রিপোর্টে ঋণগ্রহীতা কোম্পানির দায় অতিরিক্ত থাকলেও এবং আইসিআরআরএস (অভ্যন্তরীণ ঋণ ঝুঁকি মূল্যায়ন ব্যবস্থা) স্কোর ৫০ শতাংশের নিচে থাকার পরও ঋণ বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার লঙ্ঘন। ব্যবসায়িক আয় সন্তোষজনক না থাকা এবং জামানতের অনুপাত মাত্র ৪০–৭০ শতাংশ হওয়ার পরও ঋণ নবায়ন ও বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে ব্যাংক ও আমানতকারীদের অর্থ ঝুঁকিতে পড়ে।
দুদক জানায়, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রশাসন, আইটি বিভাগ ও পরিচালনা পর্ষদে আত্মীয় ও অনুগত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রভাব বিস্তার করেন। সাবেক ডিএমডি তাহের আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আইসিটিডব্লিউ শাখার টর্চ সফটওয়্যার ‘ম্যানিপুলেশনের’ করে ঋণসীমা বৃদ্ধি ও মেয়াদ পরিবর্তন করা হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ৫,৯০০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের বরাতে দুদক জানায়, ১৩৪টি ঋণের মাধ্যমে মোট ৯২৮৩ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা আহসান এন্টারপ্রাইজ, ইমপ্রেস কর্পোরেশন, অ্যাপারচার ট্রেডিং, ইউনিক ট্রেডার্সসহ নামমাত্র প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়, যা পরবর্তীতে এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান—সোনালী ট্রেডার্স, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন, এস এস পাওয়ার, এস আলম স্টিলস, এস আলম সিমেন্ট, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ইত্যাদি কোম্পানির হিসাবে জমা হয়।
ঋণের গতিবিধি পর্যালোচনা করে দুদক দেখেছে, ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার এস আলম ট্রেডিং কোম্পানির হিসাব থেকে ৩৭ কোটি টাকা রূপালী ব্যাংকের ওআর নিজাম রোড শাখার গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ওই প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে ২৯০ কোটি টাকার সমপরিমাণ (২৩.৫৮ মিলিয়ন ডলার) ব্যাংক অব চায়নার সিঙ্গাপুর শাখায় এস এস পাওয়ার-১ লিমিটেডের অফশোর অ্যাকাউন্টে পাচার করা হয়।
দুদক বলছে, এ প্রক্রিয়ায় আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের সফটওয়্যারে কারসাজি করে আসামিরা অনুমোদনহীন ঋণ প্রদান করেন এবং মোট ৯ ২৮৩.৯৩ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদ-আসলে পরিমাণ ১০৪৭৯.৬২ কোটি) আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার স্ত্রী, পাঁচ ভাইসহ প্রতিষ্ঠানটির স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৬৭ জনের বিরুদ্ধে ১০ হাজার ৪৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও সিঙ্গাপুরে পাচারের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. তানজির আহমেদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের ইতিহাসে এটিকে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে অভিহিত করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি, নীতিমালা ও পরিপত্র উপেক্ষা করে আসামিরা যোগসাজশ করে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এস আলম স্টিলস লিমিটেড ও এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের নামে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন। এর বিপরীতে রাখা হয় অপ্রতুল জামানত।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম ঘটে। ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণসীমা ২,৪০০ কোটি টাকা থেকে ৩,৮০০ কোটি টাকায় উন্নীত করে, যা ব্যাংকের মূলধনের ৩৫ শতাংশ অতিক্রম করে।
এটি ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগের একক গ্রাহক ঋণসীমা নীতিমালার লঙ্ঘন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সিআইবি রিপোর্টে ঋণগ্রহীতা কোম্পানির দায় অতিরিক্ত থাকলেও এবং আইসিআরআরএস (অভ্যন্তরীণ ঋণ ঝুঁকি মূল্যায়ন ব্যবস্থা) স্কোর ৫০ শতাংশের নিচে থাকার পরও ঋণ বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার লঙ্ঘন। ব্যবসায়িক আয় সন্তোষজনক না থাকা এবং জামানতের অনুপাত মাত্র ৪০–৭০ শতাংশ হওয়ার পরও ঋণ নবায়ন ও বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে ব্যাংক ও আমানতকারীদের অর্থ ঝুঁকিতে পড়ে।
দুদক জানায়, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রশাসন, আইটি বিভাগ ও পরিচালনা পর্ষদে আত্মীয় ও অনুগত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রভাব বিস্তার করেন। সাবেক ডিএমডি তাহের আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আইসিটিডব্লিউ শাখার টর্চ সফটওয়্যার ‘ম্যানিপুলেশনের’ করে ঋণসীমা বৃদ্ধি ও মেয়াদ পরিবর্তন করা হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ৫,৯০০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের বরাতে দুদক জানায়, ১৩৪টি ঋণের মাধ্যমে মোট ৯২৮৩ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা আহসান এন্টারপ্রাইজ, ইমপ্রেস কর্পোরেশন, অ্যাপারচার ট্রেডিং, ইউনিক ট্রেডার্সসহ নামমাত্র প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়, যা পরবর্তীতে এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান—সোনালী ট্রেডার্স, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন, এস এস পাওয়ার, এস আলম স্টিলস, এস আলম সিমেন্ট, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ইত্যাদি কোম্পানির হিসাবে জমা হয়।
ঋণের গতিবিধি পর্যালোচনা করে দুদক দেখেছে, ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার এস আলম ট্রেডিং কোম্পানির হিসাব থেকে ৩৭ কোটি টাকা রূপালী ব্যাংকের ওআর নিজাম রোড শাখার গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ওই প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে ২৯০ কোটি টাকার সমপরিমাণ (২৩.৫৮ মিলিয়ন ডলার) ব্যাংক অব চায়নার সিঙ্গাপুর শাখায় এস এস পাওয়ার-১ লিমিটেডের অফশোর অ্যাকাউন্টে পাচার করা হয়।
দুদক বলছে, এ প্রক্রিয়ায় আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের সফটওয়্যারে কারসাজি করে আসামিরা অনুমোদনহীন ঋণ প্রদান করেন এবং মোট ৯ ২৮৩.৯৩ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদ-আসলে পরিমাণ ১০৪৭৯.৬২ কোটি) আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো থাকায় রিজার্ভ শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
১৭টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে গত ৪ বছরে বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিভিন্ন দেশে পাচারের ঘটনা ঘটেছে। এই অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এএসএফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ শাহরিয়ার রহমানসহ মোট ২৮ জন।
২ ঘণ্টা আগে
সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করে একটি বৃহৎ ইসলামি ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাংকের নাম হলো সম্মিলিতি ইসলামী ব্যাংক। কার্যক্রম শুরু করতে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকে লাইসেন্সের জন্য প্রাথমিক সম্মতিপত্র (এলওআই বা লেটার অব ইনটেন্ট) দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত
২ ঘণ্টা আগে
চলতি নভেম্বরের প্রথম ৮ দিনে দেশে ৭৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯ হাজার ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
৪ ঘণ্টা আগে