সরদার আনিছ
বাজারে সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আমদানিনির্ভর ফলের দাম। ১০ দিন আগেও রাজধানীর বাজারে ভালোমানের মাল্টা কেজিপ্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার তা বিক্রি হতে দেখা গেছে ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকায়। একই ভাবে আপেল, বেদানা, আঙুর, কমলা, নাশপাতিও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় ফলও আগের তুলনায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জ্বরসহ মৌসুমি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ফলের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাল্টা ও লেবুজাতীয় ফলের চাহিদা অনেক বেড়েছে। আগের তুলনায় বিক্রিও বেড়েছে।
রাজধানীর বাদামতলী পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী জিয়াদ হোসেন বলেন, ফলের আমদানি কম তাই বাজারে দাম বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজার বাদামতলীতেই ফলের সরবরাহ কমেছে। ফলে খুচরা বিক্রেতাদের বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে ফলের মৌসুম নয়, তাই যেসব দেশ থেকে মাল্টা, কমলা, আপেল, বেদানা আমদানি করা হয় সেখান থেকেই সরবরাহ কম হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে।
গতকাল বাবুবাজার, কারওয়ান বাজারসহ ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, আপেলের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কমলার দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, নাশপাতি এবং আনারের দামও প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কালো আঙুর ৬৮০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা আঙুর মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। আফ্রিকার আপেল মানভেদে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ান আপেল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা এবং কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে। নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজি। ছোট আনার ৩৫০ টাকা কেজি এবং মাঝারিটা ৪৫০ টাকা। সবচেয়ে বড় আনার ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আনারস ১৫০ টাকা জোড়া বিক্রি হলেও কয়েকদিন আগেও তা ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা জোড়া। বাজারে প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, তরমুজ ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং পেঁপে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কলা ৮০ থেকে ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
আমদানি করা ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মাল্টার দাম। ৮-১০ দিন আগেও রাজধানীর ফলের দোকানগুলোয় এক কেজি মাল্টা বিক্রি হয় ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাল্টার দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার পেছনে সরবরাহ ঘাটতিকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠান মাল্টা আমদানি করলেও জুলাই মাসে মাত্র ৩০ জন ব্যবসায়ী মাল্টা আমদানি করেন। গত অর্থবছরে প্রতি মাসে গড়ে এক কোটি ৪০ লাখ কেজি করে মাল্টা আমদানি করা হলেও গত জুলাই মাসে এসে এ ফল আমদানি করা হয় মাত্র ২৭ লাখ ৫৭ হাজার কেজি, যা স্বাভাবিক গড় চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ। এতে গত মাসে চাহিদার চেয়ে ৮০ শতাংশ মাল্টা আমদানি কম হয়েছে।
আমদানি কমলেও চাহিদা বেড়েছে মাল্টা ও লেবুজাতীয় ফলের। বিক্রেতারা বলছেন, দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাল্টার চাহিদা অনেক বেড়েছে। যে সময়ে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক সে সময়ে এসে মাল্টার আমদানি ও সরবরাহ কমেছে। তাতে বাজারে হু হু করে দাম বেড়ে গেছে।
নয়াবাজারের জিন্দাবাহার মসজিদের সামনে ফল বিক্রি করেন হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ফলের দাম বাড়লেও চাহিদা অনেক। তবে অনেকে ফল কিনতে এসে দাম শুনে অবাক হচ্ছেন। কারণ গত ৮-১০ দিনের মধ্যে মাল্টার দাম কেজিতে ১০০ টাকার বেশি বেড়েছে। অন্যান্য ফলও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আমদানিনির্ভর ফলের দাম। ১০ দিন আগেও রাজধানীর বাজারে ভালোমানের মাল্টা কেজিপ্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার তা বিক্রি হতে দেখা গেছে ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকায়। একই ভাবে আপেল, বেদানা, আঙুর, কমলা, নাশপাতিও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় ফলও আগের তুলনায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জ্বরসহ মৌসুমি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ফলের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাল্টা ও লেবুজাতীয় ফলের চাহিদা অনেক বেড়েছে। আগের তুলনায় বিক্রিও বেড়েছে।
রাজধানীর বাদামতলী পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী জিয়াদ হোসেন বলেন, ফলের আমদানি কম তাই বাজারে দাম বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজার বাদামতলীতেই ফলের সরবরাহ কমেছে। ফলে খুচরা বিক্রেতাদের বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে ফলের মৌসুম নয়, তাই যেসব দেশ থেকে মাল্টা, কমলা, আপেল, বেদানা আমদানি করা হয় সেখান থেকেই সরবরাহ কম হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে।
গতকাল বাবুবাজার, কারওয়ান বাজারসহ ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, আপেলের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কমলার দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, নাশপাতি এবং আনারের দামও প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কালো আঙুর ৬৮০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা আঙুর মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। আফ্রিকার আপেল মানভেদে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ান আপেল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা এবং কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে। নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজি। ছোট আনার ৩৫০ টাকা কেজি এবং মাঝারিটা ৪৫০ টাকা। সবচেয়ে বড় আনার ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আনারস ১৫০ টাকা জোড়া বিক্রি হলেও কয়েকদিন আগেও তা ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা জোড়া। বাজারে প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, তরমুজ ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং পেঁপে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কলা ৮০ থেকে ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
আমদানি করা ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মাল্টার দাম। ৮-১০ দিন আগেও রাজধানীর ফলের দোকানগুলোয় এক কেজি মাল্টা বিক্রি হয় ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাল্টার দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার পেছনে সরবরাহ ঘাটতিকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠান মাল্টা আমদানি করলেও জুলাই মাসে মাত্র ৩০ জন ব্যবসায়ী মাল্টা আমদানি করেন। গত অর্থবছরে প্রতি মাসে গড়ে এক কোটি ৪০ লাখ কেজি করে মাল্টা আমদানি করা হলেও গত জুলাই মাসে এসে এ ফল আমদানি করা হয় মাত্র ২৭ লাখ ৫৭ হাজার কেজি, যা স্বাভাবিক গড় চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ। এতে গত মাসে চাহিদার চেয়ে ৮০ শতাংশ মাল্টা আমদানি কম হয়েছে।
আমদানি কমলেও চাহিদা বেড়েছে মাল্টা ও লেবুজাতীয় ফলের। বিক্রেতারা বলছেন, দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাল্টার চাহিদা অনেক বেড়েছে। যে সময়ে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক সে সময়ে এসে মাল্টার আমদানি ও সরবরাহ কমেছে। তাতে বাজারে হু হু করে দাম বেড়ে গেছে।
নয়াবাজারের জিন্দাবাহার মসজিদের সামনে ফল বিক্রি করেন হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ফলের দাম বাড়লেও চাহিদা অনেক। তবে অনেকে ফল কিনতে এসে দাম শুনে অবাক হচ্ছেন। কারণ গত ৮-১০ দিনের মধ্যে মাল্টার দাম কেজিতে ১০০ টাকার বেশি বেড়েছে। অন্যান্য ফলও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
২ ঘণ্টা আগেফের বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৫ কোটি টাকা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৩ জুন ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগেদাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৫ ঘণ্টা আগে