পাকিস্তানকে ঝুট নেওয়ার পরামর্শ বিজিএমইএর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৩৪

পাকিস্তান থেকে টেক্সটাইল আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে তৈরি পোশাক ও অ্যাক্সেসরিজ রপ্তানি করতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য দেশটিকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ঝুট (টেক্সটাইল বর্জ্য) আমদানি করে তাদের ক্রমবর্ধমান রিসাইকেল শিল্পের চাহিদা পূরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।

বিজ্ঞাপন

গত রোববার ঢাকায় বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ ওয়াসিফ সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ পরামর্শ দেন। এ সময় পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অ্যাটাশে জাইন আজিজ। উত্তরায় অবস্থিত বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই সৌজন্যমূলক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম এবং পরিচালক ফাহিমা আক্তার।

বৈঠকে উভয়পক্ষ পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারকরণ ও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। বিশেষভাবে, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যি এবং বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

আলোচনায় টেক্সটাইল উৎপাদনে পাকিস্তানের শক্তিশালী বৈশ্বিক অবস্থান এবং পোশাক উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অবস্থানের বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকে পাকিস্তান থেকে টেক্সটাইল আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে তৈরি পোশাক ও অ্যাক্সেসরিজ রপ্তানি নিয়ে আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোশাক অ্যাক্সেসরিজ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সক্ষমতা অর্জন করেছে।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান উল্লেখ করেন, পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে পোশাক শিল্পের ঝুট (টেক্সটাইল বর্জ্য) আমদানি করে তাদের ক্রমবর্ধমান রিসাইকেল শিল্পের চাহিদা পূরণ করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম পাট উৎপাদনকারী দেশ এবং পাকিস্তানে বাংলাদেশের পাট তন্তুর উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে। পাকিস্তান যদি পাট তন্তু আমদানি করে, তবে তা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত