স্টাফ রিপোর্টার
প্রথম দিনে ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের সামনে ভিড় করছেন ক্রেতারা । রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের উল্টো দিকে বিএমএ ভবনের সামনে সচিবালয় মেট্রোরেলের নিচে টিসিবির ট্রাকের পেছনে দেখা যায় পৃথক দীর্ঘ লাইনে ২০০জনের মতো নারী-পুরুষ ভিড় করছেন পণ্য কেনার জন্য।
সেগুনবাগিচা থেকে পণ্য কিনতে আসা ফাতেমা খাতুন আমার দেশকে বলেন, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষার পর ৪৫০ টাকায় তেল ডাল ও চিনি কিনলাম। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় শ্বশুর-শ্বাশুরি ও ননদসহ তেরজনের সংসারে খরচ বেড়েছে। এখান থেকে পণ্য কিনলে কিছুটা সাশ্রয় হয় বলে কষ্ট হলেও ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে পণ্য কিনলাম।
তার সঙ্গে আসা টুম্পা নামের গৃহবধূ বলেন, লাইনে শৃঙ্খলা রক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। এ জন্য অনেকে হুড়াহুড়ি করে ৩-৪বার পণ্য কিনছেন, আবার অসহায় ও দুর্বল বয়স্করা একবারও কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না। এ জন্য তিনি পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীর সহায়তায় টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
পুরুষ ক্রেতাদের লাইনে কিছুটা শৃঙ্খলা থাকলেও নারীদের লাইনে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। অনেকে লাইনের নিয়ম না মেনে আগে পণ্য কেনার চেষ্টা করছেন। থেমে থেমে নারীদের মধ্যে হুড়াহুড়ি ও ঝগড়াঝাঁটি চলছে। এখানে ক্রেতাদের এতোটাই ভিড় যে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের লোকজন পণ্য দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
চাঙ্গারপুল এলাকা থেকে আসা আব্দুল মালেক পেশায় গাড়ির মেকার। তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে টিসিবির ট্রাক থেকে কম দামে পণ্য কিনতে অনেকেই ভিড় করছেন। অনেক সময় অপেক্ষা করে তিনি পণ্য কিনেছেন। তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে সংসারের খরচ বাড়লেও ইনকাম বাড়েনি। এখান থেকে পণ্য কিনলে কিছুটা সাশ্রয় হবে বলে পণ্য কিনতে এসেছি।
বিএমএ ভবনের সামনে টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান নাছিহা ট্রেডার্সের নয়ন বলেন, প্রথম দিনেই ক্রেতার প্রচুর ভিড়, আমরা পণ্য দিতে হিমশিম খাচ্ছি। হুড়াহুড়ির বিষয়ে তিনি বলেন, পুরুষ ক্রেতারা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনলেও মহিলা ক্রেতারা এমনটি করছেন।
রাজধানীর বংশাল সুরিটোলা স্কুল ও সচিবালয় বিক্রয় পয়েন্ট ঘুরেও টিসিবির ট্রাকের সামনে ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে নিত্যপণ্য সামগ্রী মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে ঢাকাসহ চার মহানগরে এবং পাঁচ জেলায় তিনটি পণ্য রোববার থেকে বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
এবার টিসিবির ট্রাকসেলের পণ্যের দাম গত মে মাসের তুলনায় কিছুটা কমলেও গত মার্চ মাসের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া পণ্য বিক্রির মোট পরিমাণ ও পরিধিও কমেছে।
সর্বশেষ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত মে মাসে টিসিবি ট্রাকসেলে দেশব্যাপী পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে। ওই সময় একজন ভোক্তা ১৩৫ টাকা কেজি দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৮০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল এবং ৮৫ টাকায় এক কেজি চিনি কিনতে পারেন।
এবার একজন ক্রেতা কেজি প্রতি ৭০ টাকা দামে ২ কেজি মশুর ডাল, প্রতি লিটার ১১৫ টাকা দামে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৮০ টাকা দামে ১ কেজি চিনি কিনতে পারবেন।
তবে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে বিক্রয় মূল্য আগের মতো বহাল থাকছে। বর্তমানে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, মশুর ডাল ৬০ টাকা এবং চিনি ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছে টিসিবি।
প্রথম দিনে ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের সামনে ভিড় করছেন ক্রেতারা । রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের উল্টো দিকে বিএমএ ভবনের সামনে সচিবালয় মেট্রোরেলের নিচে টিসিবির ট্রাকের পেছনে দেখা যায় পৃথক দীর্ঘ লাইনে ২০০জনের মতো নারী-পুরুষ ভিড় করছেন পণ্য কেনার জন্য।
সেগুনবাগিচা থেকে পণ্য কিনতে আসা ফাতেমা খাতুন আমার দেশকে বলেন, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষার পর ৪৫০ টাকায় তেল ডাল ও চিনি কিনলাম। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় শ্বশুর-শ্বাশুরি ও ননদসহ তেরজনের সংসারে খরচ বেড়েছে। এখান থেকে পণ্য কিনলে কিছুটা সাশ্রয় হয় বলে কষ্ট হলেও ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে পণ্য কিনলাম।
তার সঙ্গে আসা টুম্পা নামের গৃহবধূ বলেন, লাইনে শৃঙ্খলা রক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। এ জন্য অনেকে হুড়াহুড়ি করে ৩-৪বার পণ্য কিনছেন, আবার অসহায় ও দুর্বল বয়স্করা একবারও কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না। এ জন্য তিনি পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীর সহায়তায় টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
পুরুষ ক্রেতাদের লাইনে কিছুটা শৃঙ্খলা থাকলেও নারীদের লাইনে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। অনেকে লাইনের নিয়ম না মেনে আগে পণ্য কেনার চেষ্টা করছেন। থেমে থেমে নারীদের মধ্যে হুড়াহুড়ি ও ঝগড়াঝাঁটি চলছে। এখানে ক্রেতাদের এতোটাই ভিড় যে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের লোকজন পণ্য দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
চাঙ্গারপুল এলাকা থেকে আসা আব্দুল মালেক পেশায় গাড়ির মেকার। তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে টিসিবির ট্রাক থেকে কম দামে পণ্য কিনতে অনেকেই ভিড় করছেন। অনেক সময় অপেক্ষা করে তিনি পণ্য কিনেছেন। তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে সংসারের খরচ বাড়লেও ইনকাম বাড়েনি। এখান থেকে পণ্য কিনলে কিছুটা সাশ্রয় হবে বলে পণ্য কিনতে এসেছি।
বিএমএ ভবনের সামনে টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান নাছিহা ট্রেডার্সের নয়ন বলেন, প্রথম দিনেই ক্রেতার প্রচুর ভিড়, আমরা পণ্য দিতে হিমশিম খাচ্ছি। হুড়াহুড়ির বিষয়ে তিনি বলেন, পুরুষ ক্রেতারা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনলেও মহিলা ক্রেতারা এমনটি করছেন।
রাজধানীর বংশাল সুরিটোলা স্কুল ও সচিবালয় বিক্রয় পয়েন্ট ঘুরেও টিসিবির ট্রাকের সামনে ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে নিত্যপণ্য সামগ্রী মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে ঢাকাসহ চার মহানগরে এবং পাঁচ জেলায় তিনটি পণ্য রোববার থেকে বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
এবার টিসিবির ট্রাকসেলের পণ্যের দাম গত মে মাসের তুলনায় কিছুটা কমলেও গত মার্চ মাসের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া পণ্য বিক্রির মোট পরিমাণ ও পরিধিও কমেছে।
সর্বশেষ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত মে মাসে টিসিবি ট্রাকসেলে দেশব্যাপী পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে। ওই সময় একজন ভোক্তা ১৩৫ টাকা কেজি দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৮০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল এবং ৮৫ টাকায় এক কেজি চিনি কিনতে পারেন।
এবার একজন ক্রেতা কেজি প্রতি ৭০ টাকা দামে ২ কেজি মশুর ডাল, প্রতি লিটার ১১৫ টাকা দামে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৮০ টাকা দামে ১ কেজি চিনি কিনতে পারবেন।
তবে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে বিক্রয় মূল্য আগের মতো বহাল থাকছে। বর্তমানে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, মশুর ডাল ৬০ টাকা এবং চিনি ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছে টিসিবি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
১৯ ঘণ্টা আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
২ দিন আগে