রাজধানীতে শেষদিনেও টিসিবির পণ্য কিনতে ক্রেতার দীর্ঘ সারি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮

রাজধানীতে টিসিবির (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের শেষ দিনেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শেষ দিনেও অধিকাংশ ট্রাকের সামনে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন থাকলেও ক্রেতাদের সিরিয়ার নম্বর দিয়ে পণ্য বিক্রি করায় আগের মতো হুড়োহুড়ি দেখা যায়নি। তবে সরবরাহ কম থাকায় লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন।

শনিবার রাজধানীর টিসিবির কয়েকটি বিক্রি পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

১০ আগস্ট ঢাকা মহানগরীতে শুরু হওয়া টিসিবির সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শনিবার শেষ হয়েছে। এসময় শুক্রবার বাদে মোট ৬০টি ট্রাকে প্রতিদিন পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। রাজধানীর বাইরের জেলাগুলোতে টিসিবির এ কার্যক্রম শেষ হয় গত ৩১ আগস্ট ।

নতুন করে ভ্রাম্যমান ট্রাকে পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা আছে কিনা এ বিষয়ে টিসিবির মিডিয়া মুখপাত্র উপপরিচালক (বাণিজ্যিক) শাহাদত হোসেন আমার দেশকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’

টিসিবির কার্যক্রমের আওতায় রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হয়। একজন ক্রেতা কেজিপ্রতি ৭০ টাকা দামে দুই কেজি মসুর ডাল, প্রতি লিটার ১১৫ টাকা দামে দুই লিটার সয়াবিন তেল এবং ৮০ টাকা দামে এক কেজি চিনি কিনতে পারেন।

তবে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় সব পয়েন্টেই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিকালের আগেই অধিকাংশ ট্রাকে পণ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বহু মানুষকে পণ্য না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি বারবার লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে গত ১০ আগস্ট থেকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের বাইরে ঢাকাসহ চার মহানগরে ও পাঁচ জেলায় সাশ্রয়ী মূল্যে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করে টিসিবি। বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনেন।

শনিবার বিকাল ৪টার দিকে কারওয়ানবাজারের ট্রেড সেন্টারে সামনে দেখা যায়, টিসিবির ট্রাকের সামনে শতাধিক নারী-পুরুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। লাইনে শৃঙ্খলা থাকলেও পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে দেখা যায় অনেককে।

তেজকুনিপাড়া থেকে আসা রাশেদা বলেন, চার ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করে পণ্য কিনতে পেয়েছি। সংসারের খরচ বেড়েছে, ইনকাম তো বাড়েনি। তাই ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারলে কিছুটা সাশ্রয় হতো।

কাঁঠালবাগান থেকে আসা নাছিমা বলেন, তিন ঘণ্টার বেশি লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে পেরেছি। সরবরাহ এতই কম যে, অপেক্ষা করেও অনেকে কিনতে পাননি।

এছাড়া রাজধানীর বংশাল, সচিবালয়, ফার্মগেট, খামারবাড়ি, খাদ্যভবন ও কাঁঠালবাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকের সামনে ক্রেতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিকালের আগেই অনেক পয়েন্টে পণ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেককেই পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফেরত যেতে হয়েছে।

শনিবার টিসিবির ভ্রাম্যট্রাকে করে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শেষ হলেও স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে বিক্রি অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং চিনি ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছে টিসিবি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত