আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা ২০২৫

আলোচিত ‘গ্রন্থ আওয়ামী শাসনে আলেম নিপীড়ন’ এখন বইমেলায়

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৯

আন্তর্জাতিক ইসলামি বই মেলা ২০২৫-এ পাঠকদের আগ্রহ কাড়ছে আলোচিত গ্রন্থ ‘আওয়ামী শাসনে আলেম নিপীড়ন’। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের একটানা দেড় দশকের শাসনামলে আলেম-ওলামাদের ওপর চালানো ভয়াবহ জুলুম-নির্যাতনের দলিল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে গ্রন্থটি। দৈনিক আমার দেশ-এ প্রকাশিত ৪৩ জন আলোচিত আলেমের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের বর্ণনা উঠে এসেছে এর পাতায় পাতায়।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম -এর পূর্ব ও দক্ষিণ চত্বরে চলমান আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলা’র ১০০ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে গ্রন্থটি। মেলাটি চলবে ১৩ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

বইটির লেখক রকীবুল হক দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছেন এবং বর্তমানে তিনি আমার দেশ-এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে আলেমদের উপর করা নির্যাতন নিপীড়নের বিষয়ে তার লিখিত ধারাবাহিক প্রতিবেদনগুলো নিয়েই প্রকাশিত হয়েছে এ গ্রন্থ।

লেখক রকীবুল হক জানিয়েছেন, নানাবিধ হুমকি ও আতঙ্কের কারণে সেই সময়ে নির্যাতনের শিকার আলেমরা ও তাদের পরিবার মুখ খুলতে পারেননি। ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে তারা নির্ভয়ে নিজের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। আর সেই ভয়াবহ সত্যের দলিল হিসেবেই বইটি প্রকাশিত হয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে নির্যাতিত হাজারো আলেমদের মধ্য থেকে মাত্র ৪৩ জনের কথা উঠে এসেছে। আমার প্রচেষ্টা থাকবে নিপীড়িত-নির্যাতিত সবার কথা তুলে ধরার। আশা করি আলেম-ওলামাদের ওপর ফ্যাসিবাদী নির্যাতনের একটি দলিল হয়ে থাকবে এই গ্রন্থ।

এছাড়া তিনি বলেন, গ্রন্থটির প্রতিটি পাতায় উঠে এসেছে কারাবন্দী আলেমদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য আয়নাঘরে গুম করে রেখে ভয়াবহ নির্যাতন, রিমান্ডে ঝুলিয়ে রেখে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, প্লায়ার্স দিয়ে নখ উপড়ে ফেলা কিংবা দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখাসহ এমন সব নির্মম অভিজ্ঞতা প্রকাশিত হয়েছে এতে। শুধু আলেমরাই নন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অথচ মূলধারার মিডিয়াগুলোতে এসব সত্যচিত্র তুলে ধরা হয়নি; বরং তাদের বিরুদ্ধে চালানো হয়েছে অপপ্রচার। তাদেরকে দেওয়া হয়েছে জঙ্গী তকমা।

প্রকাশক তাজদীদ পাবলিকেশন জানিয়েছে, গ্রন্থটি ইতোমধ্যেই পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। মেলার স্টল নম্বর ১০০-তে পাওয়া যাচ্ছে এটি।

ফ্যাসিবাদী শাসনের অন্ধকার সময়ের নিপীড়নের দলিল হয়ে থাকবে এ বই -এমন বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন পাঠক, লেখক ও প্রকাশকরা। ইসলামী বইপ্রেমীদের জন্য এটি এক ভিন্নমাত্রার সংগ্রহযোগ্য গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী এ বইমেলায় ১৯৯টি স্টল রয়েছে। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দেশের স্বনামধন্য ইসলামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, নেতৃস্থানীয় ইসলামী পুস্তক ব্যবসায়ী ছাড়াও মিশর, লেবানন ও পাকিস্তানের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এ মেলায় লেখক কর্নার, ফুড কর্নার, আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখার কথা রয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত