ইবাদত কবুলের প্রধান শর্ত হলো হালাল পথে উপার্জন:ধর্ম উপদেষ্টা

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৫৭

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করলে জীবন আলোকিত হবে। ইহকালে ও পরকালে সফলকাম হওয়া যাবে। তিনি বলেন, ইবাদত কবুলের প্রধান শর্ত হলো হালাল পথে উপার্জন। হারাম পথে অর্জিত ধনসম্পদে বর্ধিত শরীর বেহেশতে প্রবেশ করবে না।

রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে সিরাতুন্নবী (স.) উপলক্ষে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ অ্যান্ড ঈদগাহ সোসাইটির শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা ও জনসংযোগ উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণে জীবন পরিচালনা করার মধ্যেই সব কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আমরা যদি তার জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে পারি তাহলে ইহকাল ও পরকালে আমরা সাফল্য লাভ করতে পারব।

তিনি বলেন, পাপ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। পাপ করলে অবশ্যই তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। এজন্য পাপের পথ থেকে ফিরে আসতে হবে।

পদস্খলন হলেই তওবা করতে হবে। তিনি সবাইকে সহজ-সরল ও অনাড়ম্বর জীবনযাপন করার অনুরোধ জানান।

হালাল উপার্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইবাদত কবুলের প্রধান শর্ত হলো হালাল পথে উপার্জন। হারাম পথে অর্জিত ধন-সম্পদে বর্ধিত শরীর বেহেশতে প্রবেশ করবে না। তাদের নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত কোনোকিছুই কবুল হবে না।

তিনি বলেন, সব কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। পুণ্যের জন্য রয়েছে পুরস্কার আর পাপ করলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। দুদকের হাত থেকে বাঁচতে পারলেও আল্লাহর হাত থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই।

তিনি সব ধরনের খারাপ কাজকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।

গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ অ্যান্ড ঈদগাহ সোসাইটির সভাপতি মেজর (অব.) এ মতিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মসজিদ কমিটির সহসভাপতি লুৎফুল কবির সাদী বক্তব্য দেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত