বেনজিরের অর্থ পাচার মামলায় এনায়েত করিম রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ৩৮

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা ১১ কোটি টাকা পাচারের মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেন দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তিনি। প্রথমে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। পরে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে এদিন আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে বেনজির, তার স্ত্রী জীশান মির্জা ও দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরকে আসামি করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ তার অপরাধলব্ধ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদে উত্তোলনের পর কোথাও বিনিয়োগ করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অর্থ উত্তোলনের পরই বিদেশে চলে যান। ফলে নগদে উত্তোলিত অপরাধ লব্ধ আয়ের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছদ্মাবৃত্ত করার লক্ষ্যে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বেনজীর আহমেদ।

বেনজির ও তার স্ত্রী-কন্যারা ২০২৪ সালে বিভিন্ন সময় তাদের নামে দীর্ঘদিনের এফডিআর হিসাব মেয়াদোত্তীর্ণের আগেই একযোগে উত্তোলন করেছেন। এ এফডিআরের অর্থের গ্রহণযোগ্য কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। যা বেনজীর আহমেদ র‌্যাবের মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিপিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।

এর আগে ৭৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত