গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের দুর্নীতি মামলার রায় ২৮ আগস্ট

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ২১
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ২১
ছবি সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা দুদকের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ২৮ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহা. আবু তাহেরের আদালত এই তারিখ ঘোষণা করেন। গয়েশ্বরের পক্ষের আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এস.এস মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।

২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর তৎকালীন বিচারক মোজাম্মেল হোসেন। মামলাটির বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রায়ের বাজারে গয়েশ্বরের একটি ছয়তলা বাড়ী, যার নির্মাণ ব্যয় ৪০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরাণীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে গয়েশ্বরের বাড়ীর নির্মাণ ব্যয় ১৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়।

অথচ গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক এই বাড়ী দুটির অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা গয়েশ্বরের গোপনকৃত এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ। এছাড়া গয়েশ্বরের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত।

আরও বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-২০০৫ সনে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মের্সাস আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কনট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন, যা তার অবৈধ অর্জন।

তার বাড়ী নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন মর্মে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত