প্রথম পূর্ণাঙ্গ সভা আজ
সাইদুর রহমান রুমী
নিরপেক্ষ ও রাজনীতিমুক্ত বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় যোগ্য বিচারক নিয়োগে কাজ শুরু করেছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। আজ মঙ্গলবার সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রথম সভার মাধ্যমে এ কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হচ্ছে। গত ২১ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদ কাউন্সিলের অধ্যাদেশ জারি করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি সদস্য নিয়োগ করা হয় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক উল হাকিম এবং ঢাবি আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়েরকে।
সাত সদস্যের মধ্যে বাকি পাঁচজন পদাধিকারবলে সদস্য। তারা হলেনÑ কাউন্সিলের চেয়ারপারসন (প্রধান বিচারপতি), আপিল বিভাগে কর্মে প্রবীণতম একজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মে প্রবীণতম একজন বিচারপতি (বিচারকর্ম বিভাগ হতে নিযুক্ত নয়), বিচারকর্ম বিভাগ হতে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগে কর্মে প্রবীণতম একজন বিচারপতি ও বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল।
আইনজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা করার সাংবিধানিক নির্দেশনা ছিল। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক সরকারই তা বাস্তবায়ন করেনি। প্রত্যেকেই পছন্দের লোক নিয়োগ দিয়েছে। এর আগে জুডিশিয়াল সার্ভিস পৃথক হয়েছিল ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে।
এ বিষয়ে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের অন্যতম সদস্য কাজী মাহফুজুল হক সুপন আমার দেশকে বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অধ্যাদেশটি আমাদের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের একদম কাছাকাছি। আশা করছি এর মাধ্যমে বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ ও রাজনীতিমুক্ত যোগ্য বিচারক পাবে, যা মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। তবে আইনটি প্রয়োগেও নিরপেক্ষ ও রাজনীতিমুক্ত থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি ও সারাদেশের জেলা আদালতে কর্মরত বিচারকদের সামনে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগ সংস্কারের একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় উচ্চ আদালত পরবর্তীতে ২৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন দেশের উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, প্রথাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে গবেষণার পর একটি প্রস্তাব আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। এরই ফলশ্রুতিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েনমেন্ট কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে উচ্চ আদালতে ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ১২ বিচারপতি বাদে মোট ৮১ জন বিচারপতি রয়েছেন এবং আপিল বিভাগে আছেন মাত্র পাঁচজন, যা বিশাল মামলাজটে প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। তদুপরি বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে তৃতীয় শ্রেণিপ্রাপ্ত এবং দুর্নীতি ও প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা আওয়ামী ক্যাডারকেও বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাই সব মিলিয়ে বিচার বিভাগে যোগ্য ও রাজনীতিমুক্ত বিচারক নিয়োগ ছিল সময়ের দাবি।
নিরপেক্ষ ও রাজনীতিমুক্ত বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় যোগ্য বিচারক নিয়োগে কাজ শুরু করেছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। আজ মঙ্গলবার সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রথম সভার মাধ্যমে এ কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হচ্ছে। গত ২১ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদ কাউন্সিলের অধ্যাদেশ জারি করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি সদস্য নিয়োগ করা হয় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক উল হাকিম এবং ঢাবি আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়েরকে।
সাত সদস্যের মধ্যে বাকি পাঁচজন পদাধিকারবলে সদস্য। তারা হলেনÑ কাউন্সিলের চেয়ারপারসন (প্রধান বিচারপতি), আপিল বিভাগে কর্মে প্রবীণতম একজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মে প্রবীণতম একজন বিচারপতি (বিচারকর্ম বিভাগ হতে নিযুক্ত নয়), বিচারকর্ম বিভাগ হতে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগে কর্মে প্রবীণতম একজন বিচারপতি ও বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল।
আইনজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা করার সাংবিধানিক নির্দেশনা ছিল। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক সরকারই তা বাস্তবায়ন করেনি। প্রত্যেকেই পছন্দের লোক নিয়োগ দিয়েছে। এর আগে জুডিশিয়াল সার্ভিস পৃথক হয়েছিল ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে।
এ বিষয়ে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের অন্যতম সদস্য কাজী মাহফুজুল হক সুপন আমার দেশকে বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অধ্যাদেশটি আমাদের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের একদম কাছাকাছি। আশা করছি এর মাধ্যমে বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ ও রাজনীতিমুক্ত যোগ্য বিচারক পাবে, যা মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। তবে আইনটি প্রয়োগেও নিরপেক্ষ ও রাজনীতিমুক্ত থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি ও সারাদেশের জেলা আদালতে কর্মরত বিচারকদের সামনে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগ সংস্কারের একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় উচ্চ আদালত পরবর্তীতে ২৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন দেশের উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, প্রথাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে গবেষণার পর একটি প্রস্তাব আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। এরই ফলশ্রুতিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েনমেন্ট কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে উচ্চ আদালতে ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ১২ বিচারপতি বাদে মোট ৮১ জন বিচারপতি রয়েছেন এবং আপিল বিভাগে আছেন মাত্র পাঁচজন, যা বিশাল মামলাজটে প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। তদুপরি বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে তৃতীয় শ্রেণিপ্রাপ্ত এবং দুর্নীতি ও প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা আওয়ামী ক্যাডারকেও বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাই সব মিলিয়ে বিচার বিভাগে যোগ্য ও রাজনীতিমুক্ত বিচারক নিয়োগ ছিল সময়ের দাবি।
আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া জানান, “ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার একটি ৫৮’র সি ধারা, যেখানে বলা আছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠিত হবে সংসদ ভেঙে দেয়ার পনের দিনের মধ্যে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হলে এটা শুধুমাত্র সংসদ ভেঙে ..
১ ঘণ্টা আগেগত অগাস্টে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবীধানমালা-২০২৪ সংশোধন করে ম্যানেজিং কমিটি এবং গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল অন্তবর্তীকালীন সরকার।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের অপরাধ গোপন করে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার জন্য অ্যাপ্রুভার হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআবেদনে বলা হয়, সেলিম প্রধান দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থযোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে