ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের এমডি ও ৫ শেয়ার হোল্ডারের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ২১: ৫৩
আহমেদ আকবর সোবহান ও আবেদ খান

ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহমেদ আকবর সোবহান ও পাঁচ শেয়ার হোল্ডারের নামে মামলা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (উত্তরা আমলী) আদালতে এ মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডার আবেদ খান (সাংবাদিক)। অন্যরা হলেন- আহমদ আকবর সোবহানের সন্তান সাদাত সোবহান, সাফিয়াত সোবহান, সাবরিনা সোবহান ও ইয়াশা সোবহান। মামলায় বিবাদিদের কাছে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।

গত বছরের জুলাইয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অন্যতম সাইফ আরেফিন রাহাত এই মামলা করেছেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা রাহাত বুধবার দিবাগত রাতে মামলার করার বিষয়টি আমার দেশকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আজিজুল হকও বিষয়টি আমার দেশকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত বছরের জুলাই মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় আসামিরা তাদের গণমাধ্যমে বিভিন্ন উস্কানিমূলক খবর প্রকাশ করেছেন। যেখানে আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও অন্যান্য ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকার ও বিভিন্ন বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর আরও চড়াও হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি হয়েছে। শুধু উস্কানিমূলক সংবাদ নয়, বরং গ্রুপটির এমডি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নেতিবাচক বক্তব্যও দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আন্দোলন দমাতে সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।

আইনজীবী আরও জানান, বাদি অভিযোগ করেছেন যে, আসামিদের এসব কর্মকাণ্ডে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক অঙ্গ-সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলায় হাজার হাজার মানুষ আহত, নিহত ও পঙ্গু হয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১১৭/১২০৭/১৪৩/২০৩/৪৩১/৪৪০/৫০০/৫০১/৫০২/৫০৪/৫০৫/৫০০০/৫০৬/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ, বাদীকে মানহানির জন্য ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য যেকোনো প্রতিকার প্রদান করার অনুরোধ করা হয়েছে।

বাদির আইনজীবী জানিয়েছেন, আবেদন মঞ্জুর করে পিবিআই-কে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত