সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৭: ১৩
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৭: ১৫

অর্থপাচারের অভিযোগে উচ্চ বংশীয় ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার বেলা তিনটায় তাকে হাজতখানা থেকে আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলামের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে এ মামলায় তাকে কারাগারে আটকে রাখার আবেদন করেন।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওময় ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, পতিত সরকারে দোসর সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন। তার বিরুদ্ধে আমেরিকার ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও বিক্রীর অভিযোগ রয়েছে। সিআইডি ও এফআইইউ যৌথভাবে তদন্ত করে ২৭টি একাউন্টে প্রায় ১৩৩কোটি টাকার সন্দেহ জনক লেনদেন পেয়েছেন। এসব বিষয়ে অভিযোগ তদন্তাধিন রয়েছে। এখন তার জামিন দেয়া হলে মামলার আলামত নষ্টসহ অনুসন্ধানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে বিধায় তার জামিন নামঞ্জুর করার আবেদন করি। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গতকাল সোমবার মোহাম্মদপুর থানায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর জোনাঈদ হোসেন। তার আগে গতকাল বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করে। তারা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে গরু ও মহিষ এবং ভুটান ও নেপাল থেকে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে এনে বিক্রি করেন। প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু-ছাগলকে বিদেশি ও উচ্চ বংশীয় গরু-ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করেন। অবৈধভাবে উপার্জিত প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা অভিযুক্ত ইমরান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। ঢাকার কাস্টমস হাউজ কর্তৃক আটক করা এবং সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে থাকা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জবাই করে ন্যায্য মূল্যে মাংস বিক্রির কথা থাকলেও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্রে জবাই দেখিয়ে কৌশলে তা হাতিয়ে নেয় তিনি। এছাড়া, অনুমোদনহীনভাবে জোরপূর্বক মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও জবরদখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত