ববিতে উপাচার্যের মেয়েসহ কোটায় ভর্তি ২১ জন

মাসুদ রানা, ববি
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪১
ফাইল ছবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) এবারও উপাচার্যের মেয়েসহ কোটায় ভর্তি হয়েছেন ২১ জন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে কোটায় বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হন তারা। এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৩২ হাজার সিরিয়াল নিয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি হন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমের মেয়ে।

বিজ্ঞাপন

স্নাতক প্রথম বর্ষে ৪০ নম্বর পেয়ে প্রথমে তিনি বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তি হন, পরে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে জীববিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে সুযোগ পান। এ বছর এই বিভাগে মেধা তালিকায় সর্বশেষ ৫০৩৫ সিরিয়াল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

পোষ্য কোটায় ৩২ হাজার সিরিয়াল নিয়েও উপাচার্যের মেয়ের ভর্তির সুযোগ পাওয়ার ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় মোট তিনজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।

উপাচার্যের মেয়ে ছাড়াও বাকি দুজন হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে এবং ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তাদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৫০ এবং ৫৩ দশমিক ৫০। পোষ্য কোটায় ভর্তি হওয়া এই তিনজনই জীববিজ্ঞান অনুষদে সুযোগ পেয়েছেন। এ বছর পোষ্য কোটাসহ মোট ২১ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন কোটায় ভর্তি হয়েছেন।

গত বছর জুলাইয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি তুলেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে উপাচার্য তার নিজের মেয়েকে কোটায় ভর্তি করিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, একজন উপাচার্যের মেয়ে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েও মেধার জোরে ভর্তি হতে না পারলে তাকে কেন কোটার সুযোগ দিয়ে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাপ্য স্থান কেড়ে নেওয়া হবে? গ্রামের একজন প্রান্তিক কৃষকের সন্তানের জন্য কেন এমন কোটার ব্যবস্থা নেই, সে প্রশ্নও তুলেছেন তারা।

এ বিষয়ে ববির ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, নিয়ম মেনেই কোটায় সবাইকে ভর্তি করা হয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ নম্বর হলো পাস মার্ক, যা অতিক্রম করলেই কোটা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়। উপাচার্যের মেয়ে হিসেবে তাকে কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি।

অন্যান্য কোটায় ভর্তি

চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা হলো ১৮। তাদের মধ্যে ‘এ’ ইউনিট: প্রতিবন্ধী কোটায় ৩ জন, হরিজন ও দলিত কোটায় ১ জন । ‘বি’ ইউনিট: মুক্তিযোদ্ধা (সন্তান) ৪ জন, প্রতিবন্ধী ২ জন, হরিজন ও দলিত ১ জন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ জন। ‘সি’ ইউনিট: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ২ জন, বিকেএসপি ১ জন, মুক্তিযোদ্ধা ১ জন, হরিজন ও দলিত ১ জন, প্রতিবন্ধী ১ জন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত