সাম্য হত্যার বিচার চেয়ে ঢাবি ছাত্রদলের ফের অবস্থান, তদন্ত প্রতিবেদন পেশ

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ১৫: ২০

শহীদ সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আবারো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানানো হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চরম ব্যর্থতার অভিযোগ তোলা হয়।

ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন যৌথভাবে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘সাম্য হত্যার বিচার না হওয়া শুধু একজন ছাত্রনেতার প্রতি অবিচার নয়, বরং পুরো ছাত্রসমাজের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রতিনিয়ত ছিনতাই, ছুরিকাঘাত ও হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে, অথচ প্রশাসন নির্বিকার। আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই, অবিলম্বে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।’

প্রসঙ্গত, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৮-১৯ সেশনের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতা এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য ছিলেন ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। ১৩ মে দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তদের আক্রমণে তিনি নির্মমভাবে নিহত হন।

সাম্য হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন পর আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি উপাচার্য বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের নেতৃত্বে গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি এই প্রতিবেদন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, সহকারী প্রক্টর ও কমিটির সদস্য-সচিব শারমীন কবীরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি পর্যালোচনা করে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, তদন্ত কমিটিতে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ, ফারসি বিভাগের এক অধ্যাপক, সহকারী প্রক্টর এবং পরে কো-অপটকৃত ব্যারিস্টার নুরুল আজিম অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

এদিকে ছাত্রদলের অভিযোগ, দীর্ঘ ১২ দিনেও বিচার বা তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় ছাত্রসমাজের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তারা দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত